বোগট: পাবলো এসকোবার (Pablo Escobar), তাঁর নামটাই যথেষ্ট। মেক্সিকোর ‘ড্রাগলর্ড’-র কথায় এক ঘাটে জল খেত বাঘ আর গরু! পাবলো এসকোবারের বিপুল সম্পত্তির মধ্যে শুধু দামি দামি বাড়ি-গাড়িই, ছিল অদ্ভুত কিছু জিনিসও। যেমন জলহস্তি (Hippopotamus)। শুনতে অবাক লাগলেও, মেক্সিকোর ড্রাগলর্ডের কাছে ছিল প্রায় শতাধিক জলহস্তি। পাবলোর মৃত্যুর পর কার্যত ‘অনাথ’ হয়ে পড়েছে সেই জলহস্তিগুলি। প্রশাসন ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিভাগের তরফে চেষ্টা করেও ওই জলহস্তিগুলির পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। অবশেষে কলম্বিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর ‘ড্রাগলর্ড’ পাবলো এসকোবারের রাখা ৭০টি জলহস্তিকে বিভিন্ন দেশের অভয়ারণ্যে (Sanctuary) পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এর জন্য যা খরচ হতে চলেছে, তাতে সরকারেরও মাথায় হাত পড়েছে। কলম্বিয়া (Columbia) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পাবলো এসকোবারের পোষা ৭০টি জলহস্তিকে বিভিন্ন অভয়ারণ্যে স্থানান্তরিত করতে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হতে চলেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ২৮ কোটি ৭৮ লক্ষ ৪১ হাজার ২৩৯ টাকা!
জানা গিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী পাবলো এসকোবার ১৯৮০-র দশকে অল্প সংখ্যক আফ্রিকান জলহস্তি কিনেছিলেন। কিন্তু ১৯৯৩ সালে পাবলো এসকোবারের মৃত্যুর পর তাদের দেখভাল করার কেউ ছিল না। পরিবেশ কর্তৃপক্ষও এই জলহস্তির সংখ্যা কমাতে হিমশিম খায়। বর্তমানে পাবলো এসকোবারের গুটিকয়েক জলহস্তিই বংশবিস্তার করে ১৫০-এ পৌঁছেছে।
কলম্বিয়া প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মাসের মধ্যে কমপক্ষে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক, অর্থাৎ ৭০টি জলহস্তিকে ধরার পরিকল্পনা করেছে। এরমধ্যে ১০টি জলহস্তি থাকবে উত্তর মেক্সিকোর ওসটক অভয়ারণ্যে। বাকি ৬০টি জলহস্তিকে ভারতে পাঠানো হবে। তবে কোন অভয়ারণ্যে ওই জলহস্তিগুলি রাখা হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।