জেনেভা: বছর ঘুরতেই ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা। উৎপত্তিস্থল চিনেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা গত দুই বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ব্রিটেন, অস্ট্রিয়া, কোরিয়া সহ একাধিক দেশেও বাড়ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে আবার করোনা নিয়ে নতুন করে গুজবও ছড়াতে শুরু করেছে। ভুয়ো খবর নিয়ে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, তার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেই সংশয় দূর করা হল। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, করোনা নিয়ে একাধিক ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা শেষ হয়ে গিয়েছে, ওমিক্রনের দাপট কম বা এটিই শেষ ভ্যারিয়েন্ট-এই ধরনের একাধিক খবর ছড়িয়ে পড়েছে, যা সত্য নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ র প্রযুক্তিগত প্রধান মারিয়া ভ্যান খেরকোভ বলেন, “একাধিক ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ওমিক্রনের প্রভাব মৃদু বা প্যান্ডেমিক শেষ হয়ে গিয়েছে, এই ধরনের একাধিক ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে। এরফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।”
We do not see changes in severity of BA.2 compared to BA.1 at population levels. However, w/huge numbers of cases, you will see an increase in hospitalizations & that in turn has translated into increased deaths… primarily in people not vaxxed or partially vaxxed @mvankerkhove pic.twitter.com/xsOehCZQhU
— Cleavon MD ? ? ? (@Cleavon_MD) March 19, 2022
করোনা রুখতে টিকাকরণের উপরেই জোর দেওয়া প্রয়োজন, এ কথায় জোর দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ অত্যন্ত কার্যকরী। গুরুতর অসুস্থ থেকে মৃত্যু রুখতে অত্যন্ত কার্যকরী করোনা টিকাই। ওমিক্রন রুখতেও কার্যকরী করোনা টিকা।”
মারিয়া ভ্যান খেরকোভ বলেন, “বিএ.২ সবথেকে বেশি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। বিএ.১ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টে বিশেষ কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে হঠাৎ করেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামিদিনে মৃতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সম্প্রতিই জানানো হয়েছিল, করোনা শেষ হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। গত সপ্তাহেই বিশ্ব জুড়ে নতুন করে সংক্রমণ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহেই নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ। এরমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও চিনেই সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সবথেকে বেশি। এই দুটি দেশেই সংক্রমণ ২৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।