বেজিং: বিশ্বে নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনা সংক্রমণ (Corona Infection)। মাস্কের আড়াল থেকে বেরিয়ে মানুষ ধীরে ধীরে প্রাণ খুলে শ্বাস নিচ্ছে। গোটা বিশ্বে যখন মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সেই সময় চিনে ফের মারণ ভাইরাসের থাবা। আবার দফায় দফায় লকডাউন বিধি নিয়ে এসেছে চিন প্রশাসন। মানুষ জ়িরো কোভিড নীতির ঠেলায় জেরবার। এই আবহেই মহামারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড সংক্রমণের সাক্ষী থাকল বেজিং। অন্তত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে।
ন্যাশনাল হেলথ ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বুধবার চিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১,৪৫৪ জন। এর মধ্যে ২৭,৫১৭ জনেরই রোগের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে আক্রান্তের সংখ্যাটা চিনের জনসংখ্যার তুলনায় হয়তো সামান্যই। গত দু’ বছরে এই সংক্রমণ রেকর্ড ভেঙেছে। কোভিডের প্রথম দিকে চিনে দৈনিক রেকর্ড সংক্রমণ ছিল ২৯,৩৯০। সেই পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গিয়েছে গতকালের সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিকে চিনের এই করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপও করা হয়েছে। সংক্রমণে বেড়ি পরাতে লকডাউন, গণ কোভিড পরীক্ষা ও ঘোরাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
কোভিডের প্রথম ঢেউ থেকেই চিনের জ়িরো কোভিড নীতির চাপে নাভিঃশ্বাস উঠেছিল সেখানকার বাসিন্দাদের। ঠিক একই উপায়ে ফের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় চিন। বেজিংয়ের জ়িরো কোভিড পলিসির অধীনে অল্প সংখ্যক সংক্রমণেও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একটা গোটা শহর। আর সংক্রমিতের সঙ্গে কেউ সংস্পর্শে আসলে তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এর ফলে সেদেশের উৎপাদনেও যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটেছে। সেখানকার নাগরিকরা এই কোভিড নীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রতিবাদও করেছেন।