বেজিং: ফের আসতে চলেছে করোনার নতুন ঢেউ। চলতি মাসের শেষেই ফের আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া হতে পারে এবং ফিরে আসতে পারে মহামারি। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (NHC)। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুনরায় করোনা-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে NHC।
NHC-র মুখপাত্র মি ফেং জানান, নতুন বছরের শুরু থেকে হাসপাতালগুলিতে জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে। তবে ১ জানুয়ারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হাসপাতালগুলিতে কোভিড পরীক্ষার হার ১ শতাংশের কম ছিল। JN.1 ভ্যারিয়ান্টের স্ট্রেন ক্রমশ দাপট বাড়াচ্ছে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মি ফেং।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীত ও বসন্ত মরশুমে সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। তবে ক্রমাগত JN.1 ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ঘরোয়া ইনফ্লুয়েঞ্জায় সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নগামী বলে জানাচ্ছেন চিনের ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সেন্টারের প্রধান তথা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ওয়াং দায়ান। তাই করোনার বাড়বাড়ন্তের আগাম সতর্কতা হিসাবে মাস্ক পরা, ভ্যাকসিন নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন তিনি।
কোভিডের নতুন ঢেউ ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ঠেকাতে সকলকে মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা ও কো-মর্বিডিটি রয়েছে, এমন রোগীদের বিশেষ সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন মি। অন্যদিকে হাসপাতালগুলিতে ওষুধ, অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, ৫ সপ্তাহের বাড়বাড়ন্তের পর অবশেষে ভারতে করোনা গ্রাফ কিছুটা নিম্নগামী হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, সংক্রমণের হার প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে। তবে চিনের করোনা সংক্রমণের গ্রাফের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন।