সিঙ্গাপুর: সবে বিশ্বের হাতে এসেছে করোনা (COVID) প্রতিষেধক। নতুন আশা নিয়ে মহামারী অবসানের স্বপ্ন দেখছেন কোটি কোটি মানুষ। তবে করোনা এত অল্প সময়ে ছেড়ে যাওয়ার পাত্র নয়, এমনটাই ধারণা সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের। একটি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখার সময় সে দেশের শিক্ষামন্ত্রী তথা কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ার বলেন, “কোনও এক সময় মহামারীর অবসান হবে। কিন্তু করোনা পরবর্তী নর্মাল সময়ে ফিরে যেতে সময় লাগবে আরও ৪-৫ বছর।”
করোনা প্রতিষেধকের মাধ্যমে সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। তবে উদ্বেগ প্রকাশ করে লরেন্স জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে করোনা টিকাকরণ সহজ হবে না। তিনি বলেন, “করোনা প্রতিষেধকের মাধ্যমে সারা বিশ্বে আবার ভ্রমণের পরিবেশ তৈরি হবে। তবে সারা বিশ্বে করোনা টিকাকরণ দ্রুত কিংবা সহজ হবে না।”
একাধিক করোনা প্রতিষেধক বাজারে এলেও চিন্তা থেকে যাচ্ছে করোনার নতুন রূপকে নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ নতুন ‘স্ট্রেনের’ বিরুদ্ধে করোনা প্রতিষেধকের কার্যকরিতা নিয়ে চিন্তিত। সেই উদ্বেগ সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর মনেও। তিনি জানান, হয়ত করোনা প্রতিষেধক নতুন রূপের বিরুদ্ধে কার্যকরী হবে না। তার জন্য বিকল্প পথে হাঁটতে হবে। পাশাপাশি চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে সকল সিঙ্গাপুরবাসীকে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার ঘোষণাও করেন লরেন্স।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে জাপানের পার্লামেন্টে জাতীয় পতাকা ওড়ালেন বঙ্গ তনয়া
এপর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা টিকা পেয়েছেন ৬ কোটিরও বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি করোনা প্রতিষেধক পেয়েছেন আমেরিকাবাসী। সে দেশের ২ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা প্রতিষেধক পেয়েছেন। ভারতে এপর্যন্ত করোনা প্রতিষেধক পেয়েছেন ২০ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৯ জন। প্রসঙ্গত, ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৮৭ জন।