Cyclone Remal Bangladesh: রেমালে টালমাটাল বাংলাদেশ, মৃত ১১, মাটিতে মিশেছে সাড়ে ৩৭ লাখ বাড়ি

Rajib Khan | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

May 27, 2024 | 9:20 PM

Cyclone Remal Bangladesh: ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাবেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের বলে, জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এদিন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সেই দেশের দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী। কী জানালেন তিনি? কেমন আছে ওপাড় বাংলা?

Cyclone Remal Bangladesh: রেমালে টালমাটাল বাংলাদেশ, মৃত ১১, মাটিতে মিশেছে সাড়ে ৩৭ লাখ বাড়ি
টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাবেই ক্ষতি হয়েছে ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার মানুষের। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রভাবের ক্ষতি ধরলে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে, তার হিসেব এখনও পর্যন্ত নেই। এখনও পর্যন্ত প্রতিবেশি দেশে রেমালের বলি হয়েছেন ১১ জন। প্রকৃত মৃতের সংখ্যাটা হয়ত আরও বেশি, তবে এই ১১ জনের মৃত্যু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পেরেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকার আগে থেকে প্রয়োজনীয় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়ায়, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছেন সে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।

রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পুরো শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলিতে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল। প্রবল ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে যায় ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। ভেঙে পড়ে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। রবিবার বিকেল থেকেই বিদ্যুৎহীন বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা। মোবাইলে চার্জ দিতে না পারায়, যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরও ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯ ঘরবাড়ির। খুলনা, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলা-সহ উপকূলীয় ১৯ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেমালের তাণ্ডবে।


ক্ষতে মলম লাগানোর কাজটা অবশ্য ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। মহিবুর রহমান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, শিশু খাদ্য কেনার জন্য আরও ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর এই সহায়তা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে যাবে। প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে ঝড় আসার আগেই ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে এবং পাকা স্কুলবাড়িগুলিতে সব মিলিয়ে ৮ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।


এদিকে, বাংলাদেশের ১৯টি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন চলছে। দুর্যোগের মধ্যে ভোটগ্রহণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরিন বিমান চলাচল।

স্থলভাগে প্রবেশ করার পর অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে রেমাল। তবে, বাংলাদেশে মঙ্গলবারও (২৮ মে) বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সেই দেশের আবহাওয়া বিভাগ। তবে, এর আগে সবকটি নৌবন্দরে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছিল। তা নামিয়ে এখন ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। যদিও এখনও বাংলাদেশে জুড়ে ঝড়-বৃষ্টি চলছেই। সোমবার সন্ধ্যাতেও সিলেট জেলায় প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপট ছিল। বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, এই ঝড়-বৃষ্টি বন্ধ হলে, রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলি পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

Next Article