মস্কো: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে (Russia-Ukraine War) কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বের তাবড় দেশগুলি তাঁকে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল, রাশিয়ার ওপর নেমে এসেছিল একের পর এক নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে দমানো সম্ভব হয়নি, তিনি দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ৩ মাস অতিক্রম করেছে। যুদ্ধ চলাকালীন রুশ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে একাধিকবার নানা ধরনে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। এবার পুতিনকে নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। এক রুশ গোয়েন্দা আধিকারিকের দাবি, মেরে কেটে আর তিন বছর বাঁচবেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের শরীরে দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যান্সার। চিকিৎসকরা তাঁকে সময় দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফসিবির ওই আধিকারিক।
এফসিবি আধিকারিকের মতে, পুতিনের দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে আসছে। বেশ কয়েকদিন ধরে পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাঁর মাঝে গোয়েন্দা আধিকারিকের এই দাবি সেই জল্পনাকেই আরও জোরাল করেছে। যদিও রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রবিবারই পুতিনের অসুস্থতা সংক্রান্ত যাবতীয় তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার এই গোয়েন্দা আধিকারিক ব্রিটেন নিবাসী প্রাক্তন রাশিয়ান গুপ্তচর বরিস কারপিচকভকে পুতিনের স্বাস্থ্য বিষয়ক যাবতীয় খবর দিয়েছেন। বিশেষ বার্তার মাধ্যমে রুশ গোয়েন্দা আধিকারিক কারপিচকভকে ওই খবর আমাদের দিয়েছেন । news.com.au- এ প্রকাশিত ওই বিশেষবার্তা অনুযায়ী, ” বলা হয়েছে পুতিন মাথার যন্ত্রণায় ভুগছেন। তিনি যখন টিভির সামনে আসেন তখন তাঁর সামনে থাকা কাগজে বড় বড় হরফে সব কিছু লেখা থাকে। সেই কাগজ দেখেই তিনি নিজের বক্তব্য রাখেন। অক্ষরগুলি এতটাই বড় হয় যে প্রতি পাতায় ২-৩ লাইনের বেশি লেখা সম্ভব হয় না। তাঁর দৃষ্টিশক্তি ক্রমশই কমছে।” সম্প্রতি জানা গিয়েছিল পেটে জমা তরল পদার্থ বের করতে পুতিনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে চলা যাবতীয় জল্পনা খারিজ করেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছে, চলতি বছর অক্টোবরে ৭০- এ পা দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিবারের মতো এবারও তিনি সাধারণ মানুষ ও সমর্থকদের দেখা দেবেন।