ওয়াশিংটন: এক সেকেন্ডের ফারাক। মাথা যদি না সরাতেন, তবে আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়া হত না ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরে। তাঁর কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলি। যেভাবে বরাত জোরে ট্রাম্প রক্ষা পেয়েছেন, তা চিকিৎসকরা ‘মিরাকেল’-ই বলছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পের উপরে হামলার তদন্তে নেমেছে এফবিআই।
রবিবার পেনসেলভেনিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনসভায় বক্তব্য রাখছেন, এমন সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে চলে গুলি। কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলি। সঙ্গে সঙ্গেই সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা ট্রাম্পকে আড়াল করে গাড়িতে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
হামলার নিন্দা করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “আমেরিকায় এই ধরনের হিংসার কোনও স্থান নেই। দেশ হিসাবে আমাদের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপক্ষে এই হত্যার প্রচেষ্টা”। ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে তিনি জানান, এখনও হামলার উদ্দেশ্য জানা যায়নি।
There’s no place in America for this kind of violence – or any violence.
An assassination attempt is contrary to everything we stand for as a nation.
It’s not America, and we cannot allow this to happen.
— President Biden (@POTUS) July 14, 2024
এফবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের উপরে এই হামলার তদন্ত করা হচ্ছে। হামলাকারী একাই পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কারোর যোগ নেই বলেই অনুমান। থমাস ম্যাথু ক্রুক মোট আট রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। একটি গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। স্নাইপারের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে হামলাকারীর। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিরও মৃত্যু হয় গুলি লেগে।
এদিকে, হামলার পরও প্রচার থামাচ্ছেন না ট্রাম্প। আজ তিনি ফের প্রচারে বেরিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েক মুহূর্তের জন্য ট্রাম্প যেভাবে রক্ষা পান, তা মিরাকেলের থেকে কম কিছু নয়। এক সেকেন্ড এদিক-ওদিক হলেই ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারত ট্রাম্পের।