ওয়াশিংটন: মার্কিন সাংবাদিক ম্যাগি হেবারম্যান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) হোয়াইট হাউজে থাকাকালীন টয়লেটের কোমডে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি ফ্ল্যাশ করে দিয়েছেন। সোমবার সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তরফে সংশ্লিষ্ট নথিগুলির ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে নথিতে থাকা হাতের লেখা ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘নিয়মতি হোয়াইট হাউজের বাথরুমে থাকা কোমডে কাগজপত্র ফ্ল্যাশ করেছেন’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পরবর্তীকালে বাথরুম পরিষ্কারের লোক ডেকে জমাট বাঁধা অবস্থা কোমডস থেকে নথিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হেবারম্যানের দাবি, নথিগুলি কী সংক্রান্ত তা এখন যাচাই করা সম্ভব নয়। সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে হেবারম্যান জানিয়েছেন, “এই নথিগুলি কী সংক্রান্ত তা কে জানে? এই নথিগুলির বিষয় শুধুমাত্র তিনিই জানেন।” প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হেবারম্যান জানিয়েছিলেন, “হোয়াইট হাউজের কর্মীরা শৌচগারে বিভিন্ন সময়ে জমাটবদ্ধ কাগজ আটকে থাকতে দেখবে। পরবর্তীকালে সাফাইকর্মীকে এসে বিষয়টি মেরামত করতে হবে। তবে জমাটবন্ধ, ভিজে যাওয়া ও মুদ্রিত কাগজগুলি কোনওভাবেই টয়লেট পেপার নয়। কোন নোট অথবা কাগজের টুকরো বাথরুমে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।” ঠিক সেই সময়েই ট্রাম্পের এক সময়ের বন্ধু ওমারোসা ম্যানিগল্ট নিউম্যান, যিনি পরবর্তীাকালে তাঁর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন, প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাথরুমে গিয়ে নিয়মিত হোয়াইট হাউজের নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলতেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ট্রুথ সোশ্যাল নামের সমাজমাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর ফ্লোরিডার বাড়িতে এফবিআই এজেন্টরা অভিযান চালিয়েছেন এবং দখল নিয়েছেন। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাড়িতে নিয়ম বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানোর অভিযোগও সামনে এনেছিলেন ট্রাম্প। প্রাক্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে এই অভব্য আচরণ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাটদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।