ওয়াশিংটন: গিজগিজে ভিড়। উপস্থিত তাবড় তাবড় ব্যাক্তিত্বরা। তাদের মাঝেই দাঁড়িয়ে রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুকের বাঁ দিকে আটকানো আমেরিকার ছোট একটি পতাকা। মুখে ফুটে উঠেছে জৌলুস। অবশেষে আমেরিকার ৪৭ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন তিনি। আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গিয়ে দাঁড়ালেন পোডিয়ামে। তখন ক্যাপিটাল ভবন যেন ভরা বাজার। সকলের চোখে-মুখে ফুটে উঠছে উত্তেজনা। উঠে দাঁড়িয়েই প্রথমেই কী বলবেন নতুন প্রেসিডেন্ট? সকলের মনেই যেন একই প্রশ্ন। তবে ক্ষণিকের মধ্যে সকলের মোহভঙ্গ করেন ট্রাম্প। দিনের প্রথম শুরুটাই হয় বাইডেন সরকারের তুলোধনা দিয়ে।
এদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের হিসাবে শপথগ্রহণের পরই আগের সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটান রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর পোডিয়ামের অদূরেই বসে ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু সেদিকে না তাকিয়ে আগের সরকারকে রীতিমতো কাঠগড়ায় টেনে আনেন তিনি।
বরাবরই দেশের অভিবাসন নীতি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা অনুপ্রবেশ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন ট্রাম্প। নিজের ভোটপ্রচারেও বেরিয়ে এই প্রসঙ্গে ‘উদাসীন’ বাইডেন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতেন তিনি। আর আজকের এই বিশেষ দিনে দাঁড়িয়েও সেই পুরনো অভিসন্ধিকে ফেলে দিলেন না রিপাবলিকান নেতা। উল্টে দেশে বাড়তে থাকা অপরাধগুলির নেপথ্যে আগের সরকারের উদাসীন অভিবাসন নীতিকেই দাগিয়ে দিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজির হয়েছেন বহু তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা। এসেছেন বিশ্বের বড় বড় প্রতিনিধিরাও। ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন শপথের পরই কার্যত বিশ্বনেতাদের দিকে ছুড়ে দিলেন ইঙ্গিতবহ বার্তা। মনে করিয়ে দিলেন নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কথা। পাশাপাশি দেশের জনগণের উদ্দেশেও বার্তা দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমার উপর একাধিকবার আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকার গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’