বেজিং: চিনে ধরা পড়েছে প্রথম মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ। এর পরই সে দেশের এক এপিডেমিওলজিস্ট যা নিদান দিয়েছেন, তা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। চাইনিজ সেন্টার ফৎ ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান এপিডেমিওলজিস্ট য়ু জুনইউ সে দেশের নাগরিকদের বলেছেন কোনও বিদেশিকে ছোঁবেন না। চিনের মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েবোতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছিলেন তিন। সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই পোস্টে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য দেশবাসীকে পাঁচটি উপদেশ দিয়েছিলেন ওই বিশেষজ্ঞ। তাঁর প্রথম উপদেশ ছিল, “বিদেশিদের সঙ্গে গায়ে গায়ে সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে হবে।” আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকাতে কড়া নজরদারির পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
চিনা এপিডেমিওলজিস্টের এই পোস্ট ঘিরেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। তারপরই সেই পোস্ট ওই বিশেষজ্ঞ সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। কিন্তু বিদেশিদের উদ্দেশে ওই বিশেষজ্ঞের নিদানকে ভাল ভাবে নেননি নেটিজেনরা।
চিনের প্রথম মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে চংকিং শহরে। ওই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি বিদেশ থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে চিন কর্তৃপক্ষ। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি চিনা নাগরিক না বিদেশি, সে ব্যাপারে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি চিন। ওই শহরের পুর কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। তাঁকে মেডিক্যাল পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আক্রান্তের সংস্পর্শে না আসে সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
এ বছর মে মাস থেকে বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা সামনে আসে। এখন প্রায় ৯০ দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) মাঙ্কিপক্সকে পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি হিসাবে ঘোষণা করেছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৬০ হাজার এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।