সান ফ্রান্সিসকো: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে টুইটারের ক্ষমতায় টেসলা সিইও ইলন মাস্ক। শুক্রবারের মধ্যেই টুইটার কেনার চুক্তি সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ৪,৪০০ কোটি ডলারের চুক্তি সম্পূর্ণ হতেই সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেন ইলন মাস্ক। সংস্থা কিনে নেওয়ার পরই বরখাস্ত করা হল সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থায় কর্মরত, এমন আধিকারিকদেরও বরখাস্ত করেছেন মাস্ক। চুক্তি সম্পূর্ণ হওয়ার পর ওই সব আধিকারিকদের অফিস থেকে কার্যত বের করে দেওয়া হয় বলেও শোনা যাচ্ছে।
টুইটারের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে অনেক আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সে সব জট কাটিয়ে অবশেষে ক্ষমতা গিয়েছে মাস্কের হাতে। প্রথমেই শীর্ষ আধিকারিকদের সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরাগ আগরওয়াল ছাড়াও যাঁদের সরানো হয়েছে তাঁরা হলেন, টুইটারের লিগাল হেড বিজয়া গাড্ডে, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সেগল ও সিন এজেড। নেড এই সংস্থায় কর্মরত ২০১৭ সাল থেকে আর সিন কাজ করছেন ২০১২ থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন সিন এজেড-কে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এই শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে প্রথম থেকেই একটা সংঘাত ছিল মাস্কের। তাঁর দাবি, ফেক অ্য়াকাউন্টের সংখ্যা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছিলেন ওই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, চুক্তি যখন চূড়ান্ত হয় সেই সময় নেড সেগল ও পরাগ আগরওয়াল টুইটারের সদর দফতরে কাজ করছিলেন।
টুইটারের সঙ্গে মাস্কের চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ৪ এপ্রিল। এরপর জুলাই মাসে টেসলা সিইও মাস্ক নিজেই জানিয়ে দেন, টুইটার অধিগ্রহণ করা থেকে সরে এসেছেন তিনি। এরপর সম্প্রতি ফের টুইটার কেনার কথা জানান তিনি। ২৮ অক্টোবর ছিল ডেডলাইন। তার আগে বৃহস্পতিবার ইলন মাস্ক বদলে ফেলেন নিজের টুইটার বায়ো। সেখানে তিনি নিজেকে ‘চিফ টুইট’ হিসেবে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন তিনি, যেখানে দেখা যায় টুইটারের সদর দফতরে ঢুকেছেন তিনি। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল।