সান ফ্রান্সিসকো: বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলোন মাস্ক বদলে ফেললেন নিজের টুইটার বায়ো। সেখানে তিনি নিজেকে ‘চিফ টুইট’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন তিনি। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, টুইটারের সদর দফতরে ঢুকেছেন তিনি। তাঁর হাতে একটি সিঙ্ক। তা ধরেই টুইটারের সান ফ্রান্সিসকোর অফিসে ঢুকেছেন তিনি। এর পাশাপাশি টুইটারের প্রধান মার্কেটিং অফিসার লেসলি বারল্যান্ড টুইটারের কর্মীদের মেল মারফত জানিয়েছেন, ডিল চূড়ান্ত করার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মাস্ক সান ফ্রান্সিসকো অফিস ঘুরে যেতে পারেন।
মাস্ক টুইটার কিনে নিতে পারেন। এ বছরের শুরু থেকেই এ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। ধনকুবের ইলোন মাস্ক নিজের টুইটার হ্য়ান্ডল থেকেই এ বছর এপ্রিল মাসে এই ঘোষণা করেন। এ নিয়ে টুইটার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল বলেও খবর ভেসে আসে বিভিন্ন সূত্র থেকে। কিন্তু জুলাই মাসে টেজলা সিইও মাস্ক নিজেই টুইটারকে অধিগ্রহণ করা থেকে সরে এসেছেন বলে জানিয়ে দেন। এ জন্য তিনি টুইটার শীর্ষপর্যায়ের কর্তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। মাস্ককে পাল্টা দিয়েছিলেন টুইটার কর্তারা।
Entering Twitter HQ – let that sink in! pic.twitter.com/D68z4K2wq7
— Elon Musk (@elonmusk) October 26, 2022
কিন্তু গত সপ্তাহেই এই পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। মাস্ক ফের ঘোষণা করেন, তিনি ফের টুইটার কেনার ঘোষণা করেন। এ নিয়ে কথা এগোচ্ছে বলেও জানানো হয়। আইনি লড়াইয়ে ২৮ অক্টোবরের সময়সীমা দেওয়া হয়। এর মধ্য সমঝোতা চূড়ান্ত না হলে ফের তা নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। সেই সময়সীমার আগেই সান ফ্রান্সিসকোয় ইলোন মাস্কের সদর দফতরে গেলেন মাস্ক। নিজেই জানিয়ে দিলেন সে কথা। সেখানে অনেক সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলেও জানিয়েছেন টেজলা কর্তা।
মাস্ক নিজেও টুইটারে খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। নিজের বিভিন্ন ঘোষণা এবং ব্যক্তিগত মুহূর্ত এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই শেয়ার করেন তিনি। টুইটারে জনপ্রিয়তমের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সঙ্গীতশিল্পী জাস্টিন বিবারের পরই রয়েছেন তিনি।