লস অ্যাঞ্জেলেস: ক্রমেই চাপ বাড়ছে টেসলা (Tesla) কর্ণধার ইলন মাস্কের (Elon Musk) ওপর। বেশ কয়েকদিন আগেই বিমান সংস্থার এক মহিলা কর্মী মাস্কের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। সম্প্রতি সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন টেসলা কর্তা, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ব্যবসায়িক দিকের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও চাপের মুখোমুখি স্পেসএক্সের (SpaceX) সিইও। ইলন মাস্কের রূপান্তরকামী কন্যা নিজের নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন দাখিল করেছেন। নিজের লিঙ্গগত পরিবর্তনের কারণে মাস্ক কন্যার এই আবেদন বলে জানা গিয়েছে। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, “আমি কোনওভাবেই আমার জৈবিক পিতার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না এবং তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতেও চাই না।” লস অ্যাঞ্জেলেসের সান্টা মনিকার কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে নাম এবং জন্মতারিখ বদলের জন্য এপিলেই পিটিশন ফাইল করেছিলেন মাস্ক কন্যা। বেশ কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে এই খবর সামনে এসেছে।
জেভিয়ার আলেকজেন্ডার মাস্ক সম্প্রতি ১৮ বছর বয়সে পা দিয়েছেন। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন তিনি পুরুষ থেকে মহিলা হয়ে গিয়েছেন এবং তিনি তাঁর নতুন নাম ও লিঙ্গ নথিভুক্ত করতে চান। PlainSite.org ওয়েবসাইটে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইন নথিতে তাঁর নতুন নাম সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইলন মাস্ক এবং জাস্টিন উইলসনের সন্তান জেভিয়ার। ২০০৮ সালে মাস্ক ও জাস্টিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। মেয়ের সঙ্গে মাস্কের বিবাদের অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, সেই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্টভাবে কোনও কিছু জানা যায়নি। রয়টার্সের তরফে ইমেল মারফত ইলন মাস্কের আইনজীবী এবং তাঁর অফিসে যোগাযোগ করা হলেও এই নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।
বেশ কয়েকদিন আগেই রিপাবলিকান পার্টিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেসলা কর্ণধার। রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচিত সদস্যরা নীতিগতভাবে রূপান্তকারীদের অধিকার খর্ব করার পক্ষে। তবে ২০২০ সালে রূপান্তরকামীদের সমর্থনের কথাও জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।