Basil Rajapaksa: উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে দুবাই পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে বাধার মুখে প্রাক্তন মন্ত্রী

Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার অভিবাসন দফতর এবং অভিবাসন অফিসার অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সেকে জানিয়েছে কলোম্বো বিমানবন্দের ভিআইপি লাউঞ্জে বেসিলকে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন অভিবাসন আধিকারিকরা।

Basil Rajapaksa: উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে দুবাই পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে বাধার মুখে প্রাক্তন মন্ত্রী
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2022 | 2:39 PM

কলোম্বো: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। আগেই সাধারণ মানুষের বাড়তে থাকা ক্ষোভের মধ্যে ইস্তফা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa)। এবার দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন রাজাপক্ষে পরিবারের আরও এক সদস্য। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ছোট ভাই তথা শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বেসিল রাজাপক্ষেকে (Basil Rajapaksa) সিল্ক রুট প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্স টার্মিনালে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছেন অন্যান্য যাত্রীরা। অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রী গতকাল রাত ১২টা নাগাদ দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য বদরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বেসিল।

শ্রীলঙ্কার অভিবাসন দফতর এবং অভিবাসন অফিসার অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সেকে জানিয়েছে কলোম্বো বিমানবন্দের ভিআইপি লাউঞ্জে বেসিলকে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন অভিবাসন আধিকারিকরা। অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কে এ এস কানুগালা রয়টার্সকে বলেন “শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির কারণে অভিবাসন আধিকারিকরা মারাত্মক চাপে রয়েছেন। শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সেই কারণে সমস্যা সমাধান না হওয়া অবধি ভিআইপি লাউঞ্জে কর্মরত অভিবাসন আধিকারিকরা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করছেন।”

বেশ কয়েকমাস ধরে মারাত্মক আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। শনিবার দিন জনরোষের মুখে পড়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবন। গোয়েন্দা সূত্রে আগেই খবর পেয়ে যাওয়ার কারণে, বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন গোতাবায়া। বেসিলের মতো গোতাবায়াকেও একই কায়দা দেশ ছাড়তে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। শ্রীলঙ্কাতে বিদেশি মুদ্রার ঘাটতির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং জ্বালানির ঘাটতি দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের ৫১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঘাটতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএমএফের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।