ওয়াশিংটন: প্রশান্ত মহাসাগরের নীচ থেকে উঠে আসছে আরও এক গুজরাট! হ্যাঁ, বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে গুজরাটের থেকেও বড় এক এক মালভূমি আবিষ্কার করেছেন। আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটার্স জার্নালে সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থিত এই মালভূমিটি, সেই ডাইনোসর যুগ বা ক্রিটেসিয়াস যুগ, অর্থাৎ, সাড়ে চোদ্দ থেকে সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে, আগ্নেয়গিরির চারটি পৃথক স্পন্দনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। সেই থেকে এটি আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এখনও বেড়ে চলেছে।
গবেষণা দলটির নেতা তথা নেভাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞানী কেভিন কনরাডের মতে, মালভূমিটির গঠনের সময়রেখা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। সমুদ্রের নীচে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিগুলির বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রায়শই বোঝা যায় না। আর এই মালভূমির আবিষ্কার অত্যন্ত বড় ঘটনা। তিনি বলেছেন, “কখনও কখনও আমরা যখন এই বৈশিষ্ট্যগুলির বিস্তারিত গবেষণা করি, তখন আমরা বুঝতে পারি যে তারা আসলে কয়েক কোটি বছর ধরে নির্মিত এবং তার কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত প্রভাব পড়বে না।”
বস্তুত, ২০১৩ সালেই কনরাড এবং তার গবেষণা দল এই মালভূমিটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। অত্যাধুনিক চেইন কনট্রাপশন ব্যবহার করে সমুদ্রের নীচের পর্বত এবং মালভূমি থেকে পাথর সংগ্রহ করেছিলেন। সেই পাথরগুলির বয়স এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই মালভূমির গঠন প্রায় ১২ কোটি বছর আগে শুরু হয়েছিল। সম্ভবত এক বিশাল লাভা স্রোত থেকে এই মালভূমির গঠনের সূচনা হয়েছিল। এরপর, প্রায় ৪.৫ কোটি বছর আগে, আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরণের ফলে মালভূমিটি আকারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। সমুদ্রের পৃষ্ঠের উপরে থাকা অনেকগুলি দ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত হয় মালভূমিটি। যেমন, এই মালভূমির সঙ্গে সংযুক্ত সামোয়া হটস্পটে, প্রায় ১.৩ কোটি বছর আগে থেকে সামোয়ান দ্বীপপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল।