হেলসিঙ্কি: নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর নবতম সদস্য হল ফিনল্যান্ড। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ন্যাটোয় যোগদানের নথিতে স্বাক্ষর করলেন পূর্ব ইউরোপীয় দেশটির বিদেশমন্ত্রী। ৩১তম দেশ হিসেবে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে যোগ দিল ফিনল্যান্ড। নথি স্বাক্ষরের পরই ন্যাটোর সদর দফতরে ফিনল্যান্ডের পতাকা তোলা হয়। এদিকে, ফিনল্যান্ডকে সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ন্যাটোর নিন্দা করেছে রাশিয়ান ফেডারেশন। মস্কোর মতে, ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ ‘রাশিয়ার অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার উপর আক্রমণ’। ক্রেমলিনের দাবি, এতে করে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা আরও বাড়বে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সতর্ক করে জানিয়েছেন, ন্যাটোর সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, “ন্যাটোর সম্প্রসারণ আমাদের নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থের উপর আক্রমণ। ক্রেমলিনের মতে এতে উত্তেজনা বাড়বে। এই পদক্ষেপ আমাদের কৌশলগত দিক থেকে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করছে।”
Welcome to NATO family, ?? Finland!
We are proud to have you as an Ally. NATO is more united than ever and now with Finland’s full accession it’s stronger than ever. pic.twitter.com/LXfsrfdFKR
— U.S. Mission to NATO (@USNATO) April 4, 2023
ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার ১,৩৪০ কিলোমিটার বিস্তৃত সীমান্ত রয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর, ২০২২ সালের মে মাসে সুইডেনের সঙ্গে ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছিল ফিনল্যান্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এতদিন পর্যন্ত রাশিয়া এবং ন্যাটো দুই শক্তির থেকেই দূরত্ব বজায় রেখেছিল সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড, নিরপেক্ষ অবস্থআন নিয়েছিল। কিন্তু, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরই দুই দেশ ন্যাটোর সুরক্ষা চেয়েছে। ন্যাটোর সদস্য হলে, ভবিষ্যতে রুশ আক্রমণ হলে বাকি ন্যাটো সদস্যগুলির সহায়তা পাবে। ন্যাটোর সংবিধান অনুযায়ী কোনও ন্যাটো সদস্যের উপর আক্রমণ, সকল সদস্য দেশের উপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।