Florida: ৮ বছরের স্কুলছাত্রীকে ‘বাথটবে হোমওয়ার্ক করার ছবি পাঠাতে’ বললেন শিক্ষক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 30, 2022 | 10:44 PM

Florida School homework in bathtub: ছাত্রছাত্রীদের বাথটবে হোমওয়ার্ক করার ছবি পাঠাতে বললেন শিক্ষক। বাবা-মা আপত্তি জানাতেই কোপ পড়ল ছাত্রীর উপর।

Florida: ৮ বছরের স্কুলছাত্রীকে বাথটবে হোমওয়ার্ক করার ছবি পাঠাতে বললেন শিক্ষক
প্রতীকী ছবি

Follow Us

ওয়াশিংটন: ছাত্রছাত্রীদের স্নানঘরে নিজের ছবি তুলে পাঠাতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ‘বাথটবে হোমওয়ার্ক’ করার একটি ছবি পাঠাতে। এক আট বছর বয়সী ছাত্রীর বাবা-মা স্কুল শিক্ষকের এই নির্দেশের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু, তাতে তাঁদের মেয়েকেই স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ফ্লোরিডা প্রদেশের জ্যাকসনভিল এলাকার ভিক্টরি ক্রিশ্চিয়ান অ্যাকাডেমি স্কুলে।

তাঁদের সন্তানকে বাথটবে হোমওয়ার্ক করার ছবি পাঠাতে বলেছে স্কুল, দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন মিস্টি এবং ক্রিস্টোফার ডানহাম। মিস্টি ডানহাম বলেছেন, “কোনও শিশুর ছবি তোলার জন্য বাথটব উপযুক্ত নয়। ব্যাখ্যা চেয়ে আমি শিক্ষককে ইমেল করেছিলাম। ওরা বাবা-মাকে কিছু পাঠায়নি, এর উদ্দেশ্য কী তা জানায়নি। এটি ঠিক না।”

জবাবে ওই শিক্ষক জানান, তাঁদের শিশুকে পাজামা পরিয়ে কিংবা স্কুলের ইউনিফর্ম পরিয়েও ওই ছবি তোলা যেতে পারে। এর উদ্দেশ্য শুধু মজা করা। কিন্তু ডানহাম দম্পতির এটা ঠিক মনে হয়নি। মা মিস্টি ডানহ্যাম স্কুলের কার্যালয়ে এবং পরে জ্যাকসনভিল শেরিফের অফিসে ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেন। কিন্তু তার ফল হয় উল্টো। স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা বছরের পর বছর ধরে এই হোমওয়ার্ক দিয়ে থাকি। শুধুমাত্র আপনিই এটি সম্পর্কে অভিযোগ করছেন।”

এরপর, তাঁদের মেয়েকে স্কুল থেকে ছাডিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। মিস্টি ডানহাম তা মানেননি। কিন্তু, এরপর “কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই” স্কুলের খাতা থেকে তাঁদের সন্তানের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ডানহাম দম্পতির। ভিক্টরি ক্রিশ্চিয়ান অ্যাকাডেমির সভাপতি যাজক জেসি লাট্টা বলেছেন: “এই হোমওয়ার্ক অনেক স্কুলেই দেওযা হয়। এর কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। এক অভিভাবক অভিযোগ করায় আমাদের শিক্ষকরা অবিলম্বে ক্লাসের সমস্ত অভিভাবকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের আশ্বস্ত করা হয় যে, এই অ্যাসাইনমেন্টের কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নেই। শিশুদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

Next Article