Gaza: ‘বিদ্যুৎ নেই, স্নান করলে পানীয় জল থাকবে না’, দিনেও ‘আঁধার’ গাজায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 16, 2023 | 8:41 AM

Israel Hamas War: রবিবারই জানা যায়, চরম জ্বালানি সঙ্কট দেখা গিয়েছে গাজায়। সেখানের হাসপাতালগুলিতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো জ্বালানি রয়েছে। এরপরেই সমস্ত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে হাসপাতালগুলিতে। এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।  

Gaza: বিদ্যুৎ নেই, স্নান করলে পানীয় জল থাকবে না, দিনেও আঁধার গাজায়
মেয়ের মৃতদেহ কোলে পালাচ্ছেন বাবা। গাজা স্ট্রিপের ছবি।
Image Credit source: PTI

Follow Us

গাজা স্ট্রিপ: চারিদিক খা-খা করছে। দূর-দূরান্তেও কিছু নেই। শুধু দূর থেকে কানে আসছে গোলাগুলির শব্দ। এমনটাই চিত্র উত্তর গাজার। ইজরায়েলের সতর্কবার্তা দেওয়ার পর লোটা-কম্বল গুটিয়ে পাচ্ছালেন বাসিন্দারা। অন্যদিকে, ঠিক উল্টো চিত্রটাই দেখা যাচ্ছে গাজার দক্ষিণ প্রান্তে। সেখানে ভিড় থিকথিক করছে। উত্তর থেকে পালিয়ে সবাই আশ্রয় নিচ্ছেন দক্ষিণেই। কিন্তু সেখানেও বেহাল দশা। দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে জ্বালানি। নেই পানীয় জলও। খাবারের সঙ্কট তো রয়েইছে।

রবিবারই জানা যায়, চরম জ্বালানি সঙ্কট দেখা গিয়েছে গাজায়। সেখানের হাসপাতালগুলিতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো জ্বালানি রয়েছে। এরপরেই সমস্ত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে হাসপাতালগুলিতে। এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।

শুধু বিদ্যুৎই নয়, দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপে জলসঙ্কটও চরমে উঠেছে। অনেকেই বিগত তিন-চারদিন ধরে স্নান করেননি। লম্বা লাইন পড়ছে শৌচাগারগুলির সামনে লম্বা লাইন। আহমেদ হামিদ নামক বছর ৪৩-র এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী ও ৭ সন্তান নিয়ে গাজা থেকে রাফার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইজরায়েলি সেনার হুঁশিয়ারির পর। তিনি বলেন,  “আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে স্নান করিনি। এমনকী শৌচকর্ম করার জন্যও লাইন দিতে হচ্ছে। আমাদের কাছে কোনও খাবার নেই। দোকানে যেটুকু খাবার বিক্রি হচ্ছে, তাও প্রায় ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র ক্যানে টুনা মাছ ও চিজ বিক্রি হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই।”

মোনা আব্দেল হামিদ নামক বছর ৫৫-র এক মহিলাও জানান, তিনি রাফা যাচ্ছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিতে। কিন্তু মাঝপথেই হামলা শুরু হওয়ায় অপরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, “এখানে খাবার নেই, জল নেই। যাবতীয় পোশাক নোংরা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সাফ করার মতো জলও নেই। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট-কোনও পরিষেবাই পাওয়া যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে মনে হচ্ছে মানবতাই হারিয়ে যাচ্ছে।”

Next Article