গাজা: ইজরায়েল হামলায় হামাসের তুরুপের তাস পণবন্দিরা (Hostages)। গত ৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপ (Gaza Strip) থেকে ইজরায়েলের (Israel) উপরে হামলা চালানো শুরু করেছিল প্যালেস্তাইনের হামাস বাহিনী (Hamas)। সীমান্ত টপকিয়ে ইজরায়েলে প্রবেশের পরই একাধিক ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের বন্দি বানিয়েছিল হামাস। এখনও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। এদিকে, এই পণবন্দিদের জন্যই হামাসের উপরে পুরোদমে হামলা করতে পারছে না ইজরায়েল সেনা। এবার সেই বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হল হামাস বাহিনী। তবে রাখা হয়েছে একটা শর্ত।
হামাসের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, বন্দি থাকা ইজরায়েলি ও বিদেশিদের মুক্তি দিতে রাজি তারা। তবে তার জন্য একটা শর্ত রয়েছে। ইজরায়েলকে গাজায় গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে। হামাসের ঘাঁটিতে হামলা বন্ধ করলেই হামাস বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দেবে। গাজা স্ট্রিপে ইজরায়েল বাহিনী যদি অভিযান বন্ধ করে, তবে এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবারই হামাস শাসিত গাজা সিটিতে একটি হাসপাতালে আছড়ে পড়ে ইজরায়েলি মিসাইল। ওই মিসাইলের আঘাতে প্রায় ৫০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের । যদিও ইজরায়েল এই হামলার দায়স্বীকার করতে রাজি নয়। তারা প্যালেস্তাইনের ঘাড়েই দোষ ঠেলেছে। অন্যদিকে, প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট এই হামলাকে নির্মম হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেন এবং তিনদিন ধরে শোকপালনের ঘোষণা করেন।
প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “যা হচ্ছে (মিসাইল হামলা), তা আসলে গণহত্যা। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আর চুপ করে থাকা যাবে না।”