দোহা: প্রায় দেড় বছর পর মাথার উপর তারা দেখতে পাবেন খোলা আকাশ। আর দেখতে হবে না বন্দুকধারীদের। ফিরে যেতে পারবেন ফের নিজেদের পরিবার-পরিজনদের কাছে। অবশেষে গাজায় এবার যুদ্ধবিরতির সম্ভবনা। প্রথম দফাতেই ৩৩ জন যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হামাস গোষ্ঠী।
এই প্রসঙ্গে এক দফা খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বললেই চলে। এবার হয়তো একেবারের জন্য যুদ্ধে দাঁড়ি টানবে ইজ়রায়েল ও হামাস গোষ্ঠী, এমনটাই জানা গেল বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সদ্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের সূত্রে।
নির্বাচনের পর পরই হামাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে এক প্রকার হুঙ্কার তুলেছিলেন রিপাবলিকান নেতা। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর রাষ্ট্রপতির আসনে বসার আগে যুদ্ধবন্দিদের মুক্ত না করলে হামাসের ‘শেষ দেখে ছাড়া’ হবে। সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুঙ্কার যে মধ্যপ্রাচ্যের অন্দরে জমি নাড়িয়ে দিয়েছিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই হয়তো আর ‘শেষ দেখতে হয়নি’। তার আগেই গুটি গুটি পায়ে যুদ্ধবিরতির পথে এগিয়ে গিয়েছে দুই যুযুধান গোষ্ঠী ইজরায়েল ও হামাস।
এদিন ট্রাম্প বলেন, ‘সোমবার আমার শপথগ্রহণ। আর তার আগেই ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে বিরতি আনা সম্ভব হবে। অনুমান, সোমবারের আগেই হয়তো ঘোষণা হয়ে যাবে যুদ্ধবিরতির।’ এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে বাকি রাখেননি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাঁর কথায়, ‘এই চুক্তির মধ্যে প্যালেস্টাইনে ফের একবার শান্তির আবহ তৈরি হবে। যুদ্ধ থামবে। বন্দিরা মুক্তি পাবে। অগ্নিগর্ভ যুদ্ধ থেকে রেহাই পাবে সাধারণ মানুষ।’
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি মোতাবেক মঙ্গলবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসবেন দুই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। এদিন কাতারের রাজধানীতেই যুদ্ধবিরতির বাড়তি পড়ে থাকা কাজকর্ম নিয়ে আলোচনায় বসবে তারা। বৈঠকে ট্রাম্প ও বাইডেনের তরফে উপস্থিত থাকবে তাদের প্রতিনিধিরাও।