Hindu Teacher in Pakistan: ‘অধার্মিক’ কথাবার্তা বলার অভিযোগ, পাকিস্তানে হিন্দু শিক্ষকের ভয়াবহ পরিণতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Feb 09, 2022 | 6:57 PM

Blasphemy: পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জানা গিয়েছে। সাজপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম নতুন লাল। যাবজ্জীবন কারদণ্ডের পাশাপাশি অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকার জরিমান করেছেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতে বিচারপতি মুর্তাজা সোলাঙ্গি।

Follow Us

করাচি: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অধার্মিক কথাবার্তা বলার অভিযোগে মঙ্গলবার এক হিন্দু শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে স্থানীয় আদালত। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জানা গিয়েছে। সাজপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম নতুন লাল। যাবজ্জীবন কারদণ্ডের পাশাপাশি অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকার জরিমান করেছেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতে বিচারপতি মুর্তাজা সোলাঙ্গি। ২০১৯ সাল থেকেই জেলে রয়েছে নতুন লাল। তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে ২ বছরেরও বেশি সময় নিয়েছে আদালত। বিচারাধীন বন্দি হিসেবে বিগত দু’বছের তিনি বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন। প্রত্যেকবারই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে নতুন লালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ভিত্তিতেই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল লাল যে স্কুলে কর্মরত ছিলেন সেখানকারই এক ছাত্র তাঁর বিরুদ্ধে হজরত মহম্মদের বিরুদ্ধে অশোভনীয় কথা বলার অভিযোগ এনেছিল। জানা গিয়েছে ওই স্কুলটি লালেরই। স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় এক কলেজেও তিনি পদার্থবিদ্যা পড়াতেন। ওই ছাত্র জানিয়েছিল, ঘটনার দিন কলেজ থেকে ফিরে স্কুলে এসে ওই কাজ করেছিলেন লাল। এই ঘটনার পরই জামায়াতে আহলে সুন্নাত দলের নেতা ও স্থানীয় আলেম মুফতি আব্দুল করিম সাইদী পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট ধারায় লালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। উন্মত্ত জনতা সাচো সাতরাম ধাম মন্দিরে আক্রমণ করে এবং মন্দিকরে থাকা দেবতার মূর্তিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল। মন্দিরের কেয়ারটেকার জয় কুমার পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন মুখে কাপড় বেঁধে ৫০ জনের একটি দল মন্দিরে আক্রমণ চালিয়েছিল ঠিকই পড়ে ৫০০ জন মুসলিম রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক পাকিস্তানে অধার্মিক কথাবার্তা সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করেন। মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই এই আইনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করতেই পাকিস্তানে সাধারণত হিন্দুদের প্রতি এই আইন ব্যবহার করা হয়। নতুন লালের ক্ষেত্রে আইন ব্যবহার নিয়েও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

করাচি: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অধার্মিক কথাবার্তা বলার অভিযোগে মঙ্গলবার এক হিন্দু শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে স্থানীয় আদালত। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জানা গিয়েছে। সাজপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম নতুন লাল। যাবজ্জীবন কারদণ্ডের পাশাপাশি অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকার জরিমান করেছেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতে বিচারপতি মুর্তাজা সোলাঙ্গি। ২০১৯ সাল থেকেই জেলে রয়েছে নতুন লাল। তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে ২ বছরেরও বেশি সময় নিয়েছে আদালত। বিচারাধীন বন্দি হিসেবে বিগত দু’বছের তিনি বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন। প্রত্যেকবারই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে নতুন লালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ভিত্তিতেই ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল লাল যে স্কুলে কর্মরত ছিলেন সেখানকারই এক ছাত্র তাঁর বিরুদ্ধে হজরত মহম্মদের বিরুদ্ধে অশোভনীয় কথা বলার অভিযোগ এনেছিল। জানা গিয়েছে ওই স্কুলটি লালেরই। স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় এক কলেজেও তিনি পদার্থবিদ্যা পড়াতেন। ওই ছাত্র জানিয়েছিল, ঘটনার দিন কলেজ থেকে ফিরে স্কুলে এসে ওই কাজ করেছিলেন লাল। এই ঘটনার পরই জামায়াতে আহলে সুন্নাত দলের নেতা ও স্থানীয় আলেম মুফতি আব্দুল করিম সাইদী পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট ধারায় লালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। উন্মত্ত জনতা সাচো সাতরাম ধাম মন্দিরে আক্রমণ করে এবং মন্দিকরে থাকা দেবতার মূর্তিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল। মন্দিরের কেয়ারটেকার জয় কুমার পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন মুখে কাপড় বেঁধে ৫০ জনের একটি দল মন্দিরে আক্রমণ চালিয়েছিল ঠিকই পড়ে ৫০০ জন মুসলিম রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক পাকিস্তানে অধার্মিক কথাবার্তা সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করেন। মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই এই আইনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করতেই পাকিস্তানে সাধারণত হিন্দুদের প্রতি এই আইন ব্যবহার করা হয়। নতুন লালের ক্ষেত্রে আইন ব্যবহার নিয়েও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article