Military Power: যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হয়, জানেন বাংলাদেশের হাতে কী কী অস্ত্র আছে?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 08, 2024 | 6:00 AM

Bangladesh Military Power: সম্প্রতিই বিশ্বের সামরিক শক্তির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া, তৃতীয় স্থানে চিন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। সেই তালিকায় অনেকটাই নীচে রয়েছে বাংলাদেশ।

Military Power: যদি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হয়, জানেন বাংলাদেশের হাতে কী কী অস্ত্র আছে?
ভারতকে কি সামরিক শক্তিতে হারাতে পারবে বাংলাদেশ?
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য করছিল ভারত। ভারতের সহায়তা না থাকলে হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এত সহজ হত না। তবে স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে নিজেদের সেনাবাহিনী মজবুত করেছে বাংলাদেশ। অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে মানববিহীন ড্রোন- বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে বিভিন্ন দেশের অস্ত্র সরঞ্জাম যোগ করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সামরিক ক্ষমতা কত জানেন?

সম্প্রতিই বিশ্বের সামরিক শক্তির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া, তৃতীয় স্থানে চিন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। সেই তালিকায় অনেকটাই নীচে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সামরিক শক্তির তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ নম্বরে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪০ নম্বরে। অর্থাৎ এক বছরেই তিন ধাপ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।

কী কী অস্ত্র ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের হাতে?

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে বিগত পাঁচ বছরে ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম, ড্রোন, রণতরী সব ২৩ ধরনের অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যোগ করা হয়েছে। চিন, তুরস্ক সহ ১২টি দেশ থেকে এই অস্ত্র সরঞ্জাম ক্রয় করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সেনায় আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জন্য ১১ ধরনের, নৌবাহিনীর জন্য ৮ ধরনের ও বায়ুসেনার জন্য় ৪ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা হৃয়েছে।

  • এরমধ্যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম আনা হয়েছে চিন থেকে।
  • যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাঙ্কার উদ্ধার করে এনে তা মেরামতি করে আবার যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য জার্মানি থেকে আনানো হয়েছে আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকেল।
  • বাংলাদেশের অস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ করা হয়েছে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল বা মানববিহীন ড্রোন। তুরস্ক থেকে আনা হয়েছে এই ড্রোন। এছাড়াও তুরস্ক থেকে আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার, মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম ও রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ওয়েপন সিস্টেম আনানো হয়েছে।
  •  ইটালি থেকে ইউটিলিটি হেলিকপ্টারও আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
  • কানাডা থেকে আমদানি করা হয়েছে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সিস্টেম।
  • ব্রিটেন থেকে আনানো হয়েছে এমকে-৫ এয়ারক্রাফট, ফ্রান্স থেকে আনা হয়েছে এয়ার র‌্যাডার, ইটালি থেকে ড্রোন ও জার্মানি থেকে প্রশিক্ষণ বিমান আনা হয়েছে।।
  • বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে ২টি সাবমেরিন সহ ৬৫টি যুদ্ধজাহাজ, ২টি হেলিকপ্টার ও ৪টি মেরিটাইম এয়ারক্রাফট আছে।
Next Article