
কলকাতা: ১৯৮১ সাল। দক্ষিণ কলকাতার এক পুরোনো বাড়ি। তার থেকেও পুরোনো এক খাটে শুয়ে আছেন সাদা পাঞ্জাবি পরা এক বৃদ্ধ। দাঁত পড়ে গিয়েছে, গালের চামড়া শুকিয়ে ঢুকে গিয়েছে ভিতরে। আর তাঁর পাশে বসে আছেন স্যুট-বুট পরা এক ভদ্রলোক। মাত্র দুই বছর আগেই তিনি নোবেল পুরস্কার জিতেছেন, পদার্থবিদ্যায়। আর আজ এসেছেন, শিক্ষকের হাতে সেই পুরস্কার তুলে দিতে। কে এই ব্যক্তি, কেই বা তাঁর শিক্ষক? তা বলার আগে আরও একটা কাহিনি বলি। ওই স্যুট-বুট পরা ভদ্রলোকেরই। সেদিন অবশ্য তাঁর পরনে স্যুট-বুট ছিল না। শেলডন গ্ল্যাশো এবং স্টিভেন ওয়েইনবার্গের পাশে, তিনি নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে উঠেছিলেন কালো পাঠানি স্যুট এবং সাদা পাগড়ি পরে। সগৌরবে তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সারা বিশ্বের চোখে তিনি, প্রথম মুসলিম নোবেল বিজয়ী। অথচ, তাঁর মাতৃভূমি তাঁকে মুসলিম বলে বিবেচনাই করে না। তাঁর উত্তরাধিকারকে অস্বীকার করে। মৃত্যুর পরও তাঁকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তিনি পাকিস্তানের প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, অধ্যাপক আবদুস সালাম। ...