Xi Jinping: ফিরে দেখা: ‘চাষার ব্যাটা’ই আজ সর্বশক্তিমান নেতা, বাইশে উত্থান-পতন দুই-ই দেখলেন জিনপিং

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 26, 2022 | 8:50 PM

Year Ender 2022: বাবা কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতা ছিলেন, তাই দলে নিজের জায়গা করে নিতে বেগ পেতে হয়নি জিনপিংকে। তবে নিজের বুদ্ধিমত্তাতেই নিজেকে সর্বাধিনায়কের জায়গায় নিয়ে যান শি।

Xi Jinping: ফিরে দেখা: চাষার ব্যাটাই আজ সর্বশক্তিমান নেতা, বাইশে উত্থান-পতন দুই-ই দেখলেন জিনপিং
শি জিনপিং। ছবি:PTI

Follow Us

চাষ করতেন গ্রামে, সেখান থেকে হলেন দেশের প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালটা মন্দ গেল না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping)। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক বিতর্ক রয়েছে তাঁকে ঘিরে। তবে সমালোচকদের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে গিয়েই চলতি বছরে চিনের সর্বশক্তিমান নেতা হয়ে যান তিনি। ২০২২-র অক্টোবর মাসে চিনের (China) কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম কংগ্রেস অধিবেশনে (20th Communist Party Congress) তৃতীয়বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা করা হয় সি জিনপিংয়ের নাম। চিনে এই প্রথম কোনও নেতা তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলেন। আর এরপরই চিনের সর্বাধিনায়ক মাও জে দং-র সমক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে যান জিনপিং। বদল আনা হয় চিনের সংবিধানেও, কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় জিনপিংয়ের ক্ষমতা।

বাবা কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতা ছিলেন, তাই দলে নিজের জায়গা করে নিতে বেগ পেতে হয়নি জিনপিংকে। তবে নিজের বুদ্ধিমত্তাতেই নিজেকে সর্বাধিনায়কের জায়গায় নিয়ে যান শি। প্রথমবার চিনের প্রেসিডেন্ট পদে বসতেই প্রথমে সামরিক বাহিনীতে পরিবর্তন আনেন, নিজের বিরোধীদের তাড়ান। তৈরি করেন নিজের অনুগত সেনাও। পলিটব্যুরোর যে সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করেন।

জিরো কোভিড বিতর্ক-

তবে চলতি বছরেই জিনপিংয়ের জনপ্রিয়তায় ভাঁটাও পড়েছে। বিগত কয়েক দশকে প্রথমবার চিনের রাষ্ট্রনেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। নেপথ্যে চিনের জিরো কোভিড নীতি। করোনা সংক্রমণ দমনে চিন প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। বিগত দুই বছরে দফায় দফায় লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন থেকে শুরু করে সংক্রমণ দমনে জোর করে করোনা পরীক্ষা করানো, রোগীদের গৃহবন্দি করে রাখা, একাধিক অভিযোগ ওঠে জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু করোনা রোগী থাকায় একটি আবাসনে আগুন লাগা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য না করার ঘটনার পরই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বেজিং, সাংহাই সহ চিনের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। জিনপিংয়ের ইস্তফার দাবিতেও ওঠে স্লোগান। চিনে যেভাবে জনগণের কণ্ঠস্বর রোধ করা হয়, তার প্রতিবাদে সাদা কাগজ দেখিয়ে প্রতিবাদ করা হয়। এরপরই পিছু হটতে বাধ্য হন জিনপিং। শিথিল করা হয় জিরো কোভিড নীতি। তবে দেশজুড়ে যেভাবে প্রেসিডেন্টের ইস্তফার দাবিতেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তাতে যথেষ্ট চাপে রয়েছেন শি জিনপিং। চিনের একনায়কতন্ত্রও পড়েছে প্রশ্নের মুখে।

Next Article