মেক্সিকো সিটি: ডুবে গিয়েছে বাড়িঘর, রাস্তায় ভেসে বেড়াচ্ছে আস্ত গাছ। মেক্সিকোতে আছড়ে পড়ল হারিকেন রসলিন। ক্যাগেটরি ৩ -র এই হারিকেনের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেক্সিকো। বইছে ঝোড়ো হাওয়া, শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। বেশ কিছু জায়গায় বন্যাও নেমেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের পথ ধরে রবিবার মেক্সিকোয় ল্যান্ডফল হয় হারিকেন রসলিনের। ল্যান্ডফলের সময়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। হারিকেনের জেরে সবথকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। আজ সকাল অবধি ঝড়ের প্রভাব থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাব থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার হারিকেন রসলিন মেক্সিকোর উপকূলে আছড়ে পড়ে। পুরের্তো ভ্যালার্টা ও মাজ়াটলানের মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়-বৃষ্টিতে ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও অবধি দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। ৭৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মাথার উপরে বাড়ির পিলার ভেঙে পড়ে। অন্যদিকে, রোসামোরাডায় ৩৯ বছর বয়সী এক মহিলার উপরে প্রাচীর ভেঙে পড়ে, দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মেক্সিকোর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, স্থলভাগে প্রবেশের পর কিছুটা হলেও শক্তি হারিয়েছে হারিকেন রসলিন। ধীরে ধীরে এটি সাধারণ ঝড়ে পরিণত হবে। বর্তমানে হারিকেনটি পশ্চিম-মধ্য মেক্সিকোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ও চলবে। এর জেরে একাধিক জায়গায়, বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
হারিকেন রসলিন আছড়ে পড়ার পরই শুরু হয়েছে ভারী বৃ্ষ্টিপাত। একাধিক জায়গায় বাড়ি-ঘর জলের নীচে ডুবে গিয়েছে। কমপক্ষে কয়েকশো বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। ঝড়-বৃ্ষ্টি শুরু হতেই বহু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়েও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।