দাভোস: চাকরি খাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)। এই কথা বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। গুগলের মতো বড় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা থেকে শুরু করে অ্যামাজনের মতো লজিস্টিক সংস্থা ইতিমধ্য়েই কর্মী ছাটাই করেছে। এবার আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (International Monetary Fund) প্রধানের মুখেও শোনা গেল সেই ভয়ের বার্তা। আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দৌলতে বিশ্বজুড়ে চাকরির সঙ্কট দেখা দিতে পারে।”
সুইজারল্য়ান্ডের দাভোসে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। তার আগেই ওয়াশিংটনে একটি সাক্ষাৎকারে আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা বলেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলিতে ৬০ শতাংশ চাকরিতে প্রভাব পড়তে পারে। বিপুল সংখ্যক কর্মীরা চাকরি খোয়াতে পারেন। তবে এআই-র দৌলতে উৎপাদন ও বৈশ্বিক বৃদ্ধিতে ভাল প্রভাব পড়বে।”
নতুন আইএমএফ রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি বলেন, “তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব উন্নতশীল দেশগুলিতে কম পড়বে। বিশ্বজুড়ে ৪০ শতাংশ চাকরিতে প্রভাব পড়তে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণে। যত উন্নত ও উচ্চতর দক্ষতার চাকরি হবে, ততই বেশি প্রভাব পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “এআই-র কারণে আপনার যেমন চাকরি চলে যেতে পারে, আবার আপনার কাজকে আরও সহজ করে তুলতে পারে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ফলে কর্মক্ষমতা আরও বাড়বে এবং আপনার আয় বাড়তে পারে।”
আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা বলেন, “আমাদের অল্প আয়ের অর্থনীতিগুলিকে সাহায্য করা উচিত যাতে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুযোগ-সুবিধাগুলি নিতে পারে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিছুটা ভয়ের হলেও, একই সঙ্গে প্রচুর সুযোগও রয়েছে।”
আইএমএফের রিপোর্টে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও চাকরিতে তার প্রভাবের বিষয়টি তুলে বলা হয়েছে, ছোটখাট অর্থনীতিতে প্রাথমিকভাবে কম প্রভাব ফেলবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। কর্মক্ষেত্রে ইন্টিগ্রেশন বা মিশ্রণ হলেও, এর খুব একটা প্রভাব পড়বে না।