ইসলামাবাদ: কোথাও রাস্তাঘাটে জ্বলছে টায়ার। কোথাও চলছে ভাঙচুর। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানে(Imran Khan)-র গ্রেফতারি ঘিরে উত্তপ্ত পাকিস্তান (Pakistan)। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসেই ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো(National Accountability Bureau)-র হাতে গ্রেফতার হন ইমরান খান। এই খবর চাউর হতেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে ইসলামাবাদে (Islamabad)। বিভিন্ন জায়গায় সেনার সঙ্গে ইমরান খানের দল, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ইসলামাবাদে। আজ, বুধবার ইমরান খানকে আদালতে পেশ করার কথা থাকলেও, অশান্তি এড়াতে আদালতে পেশ করা হয়নি ইমরানকে।
বিক্ষোভের আগুন শুধুমাত্র ইসলামাবাদেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। করাচি থেকে শুরু করে লাহোর, কোয়েটা, রাওয়ালপিন্ডি, পঞ্জাব, সিন্ধ সহ একাধিক জায়গায় দফায় দফায় বিক্ষোভ-অশান্তি ছড়িয়েছে। পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর। জানা গিয়েছে, আজ সকালে ফের নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দফতর ও বিল্ডিংয়ে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে পিটিআই সমর্থকরা।
সংঘর্ষ, বিক্ষোভের জেরে আজ, বুধবার পাকিস্তানের সমস্ত বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ পাকিস্তানে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে, আগামী কয়েকদিনও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে, ইমরান খানের গ্রেফতারির পরে এদিন সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে পিটিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উমারকে গ্রেফতার করে সন্ত্রাস দমন বাহিনী।
অন্যদিকে, পিটিআইয়ের সমর্থকরা আজ, বুধবার ফের বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছে। ইসলামাবাদে, যেখানে ইমরান খানকে দুর্নীতি মামলায় হেফাজতে রেখেছে ন্যাব, সেই সদর দফতর অবধি মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে পিটিআই সমর্থকদের। এই মিছিল ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কায় পাকিস্তানের চার প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
শেষ খবর অনুযায়ী, অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে এখনও অবধি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের ৯৪৫ জন কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, কমপক্ষে ২৫টি পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে শুধু পঞ্জাব প্রদেশেই। ১৪টিরও বেশি সরকারি দফতরে লুঠপাট ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।