ইসলামবাদ: পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। আগামী দিনে ভারতের প্রতিবেশি দেশের রাজনৈতিক ভাগ্যে কী লেখা আছে তা এখনই বলা মুশকিল। গতকাল বিরোধীদের সাজানো পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে পাক সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Prime Minister) ইমরান খান (Imran Khan)। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিকে অধিবেশন ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব যেন দেশবাসীর কাঁধে দেওয়া হয় সেই কথা বলেছিলেন। নির্বাচন না হওয়া অবধি দেশের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বিরোধী দলনেতা শাহাবাজ শরিফকে চিঠি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আলভি।
সোমবার দেশের কার্যনিবাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের পছন্দের ব্যক্তির নাম প্রকাশ করলেন ইমরান খান। দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদকে পরবর্তী কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন ইমরান। জানা গিয়েছে, তাঁর দল তেহরিক ই ইনসাফের কোর কমিটির সঙ্গে আলোচনার পরই আহমেদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইমরানের দল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির চিঠি পাওয়ার পরই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেই রাষ্ট্রপতির দফতর জানিয়েছিল, সংবিধান প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করে কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে।
নিয়ম বলছে, যদি দুই রাজনীতিবিদ তিন দিনের মধ্যে পরবর্তী কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে ঐক্যমতে না পৌঁছাতে না পারেন তবে, দু’জনেই দুটি করে নাম সংসদীয় কমিটির কাছে প্রস্তাব হিসেবে পাঠাবেন। তাদের মধ্যে থেকে একজনকেই কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবে ৮ সদস্যের সংসদীয় কমিটি। ওই কমিটিতে শাসক ও বিরোধী দলগুলির সমান সদস্য সংখ্যা রয়েছে। রবিবার রাতে রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে এমনটাই জানানো হয়েছে। বিবতিতে বলা হয়েছে, “নতুন কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া অবধি ইমরান খান নিয়াজি পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ এ (৪) ধারা অনুয়ায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।” সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া অবধি কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী কাজ চালাবেন। নিয়ম অনুযায়ী ইমরান খান নাম প্রস্তাব করেছেন। তবে বিরোধী দলনেতা শাহাবাজ শরিফ এই প্রক্রিয়াকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছেন। এখন পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন IIT student attacks Police: যোগী গড়ে কাটারি নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে গেল আইআইটি স্নাতক! দেখুন ভিডিয়ো