Ashwini Vaishnaw: তিন বছরেই ‘সেমিকন্ডাক্টর যুদ্ধ’ জিততে চায় ভারত: অশ্বিনী বৈষ্ণব

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 19, 2023 | 11:45 PM

Ashwini Vaishnaw: বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বললেন আগামী তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের সবথেকে বড় টেলিকম সরঞ্জাম রফতানিকারী দেশ হতে চায় ভারত।

Ashwini Vaishnaw: তিন বছরেই সেমিকন্ডাক্টর যুদ্ধ জিততে চায় ভারত: অশ্বিনী বৈষ্ণব
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

Follow Us

দাভোস: আগামী তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের সবথেকে বড় টেলিকম সরঞ্জাম রফতানিকারী দেশ হতে চায় ভারত। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর বাজারে একটা বিশাল সুযোগ অনুভব করেছে ভারত সরকার। তাই সরকার এই ক্ষেত্রে ১০০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সরকারের লক্ষ্য, বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের প্রধান সরবরাহকারী দেশ হয়ে ওঠা। এদিন, ‘লার্নিং ফ্রম সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই শকস’ শীর্ষক এক আলোচনায় অংশ নেন টেলিকম মন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, সেমিকন্ডাক্টরের বিরাট বাজার রয়েছে। পরিকাঠামো, প্রতিভা এবং প্রযুক্তির দিক থেকে সেই বাজার দখলের বড় সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে বড় সেমিকন্টাক্টর রফতানিকারী দেশ তাইওয়ান।

অশ্বিনী বৈষ্ণব তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাচ্ছে সরকার। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রতিভা তৈরির জন্য পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করছে তারা। তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থায় প্রচুর প্রতিভা তৈরি হয়। আমরা সঠিক প্রতিভা তৈরির জন্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছি।” এই ক্ষেত্রে ভারত সরকারের বিনিয়োগের পরিকল্পনাও তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ১০০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সমগ্র বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহকারী দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। বৈদ্যুতিক যানবাহন থেকে শুরু করে সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তির জন্য সেসকন্ডাক্টর প্রয়োজন। আমরা নিশ্চিত ভবিষ্যতে এর বিশাল চাহিদা তৈরি হবে। আগামী ৬-৭ বছরে এই শিল্প আকারে দ্বিগুণ বাড়বে। ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার তৈরি হতে চলেছে।” এই লক্ষ্যে ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির নতুন নতুন কারখানা তৈরি করা হবে। তবে তাই বলে পরিবেশকে অবজ্ঞা করবে না ভারত সরকার। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, নতুন কারখানাগুলি যাতে সবুজ শক্তিতে চালিত হয়, তা নিশ্চিত করবে ভারত।

বস্তুত, আগামিদিনে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনা যে অত্যন্ত উজ্জ্বল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়নে ‘বিল্ডিং ইন্ডিয়াজ় ডিজিটাল ইকোনমি: টেক পাওয়ার্ড গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট মিঃ ব্র্যাড স্মিথ। তিনি ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিভার ভান্ডারকে সৌদি আরবেরতেলের ভান্ডারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “জ্বালানী তেলের ক্ষেত্রে বিশ্বে সৌদি আরবের যে অবস্থান, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ভারতের সেই স্থান রয়েছে।’ ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুবরা শিক্ষার জন্য ভারতে আসবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার প্রধান অর্থনৈতিক ভাষ্যকার মার্টিন উলফ বলেছেন, “নিশ্চিতভাবে, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরে ভারতই হবে বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি।”

Next Article