ওয়াশিংটন: আমেরিকার মিত্রশক্তি হবে না ভারত। বরং, আমেরিকার মতোই আরও এক বড় শক্তি হয়ে উঠবে ভারত। বৃহস্পতিবার, ওয়াশিংটনে অ্যাস্পেন সিকিওরিটি ফোরামের এক বৈঠকে এমনই বলেছেন হোয়াইট হাউসের এশিয়া কোঅর্ডিনেটর কার্ট ক্যাম্ববেল। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ২০ বছরে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে দ্রুততায় ‘গভীর ও শক্তিশালী’ হয়েছে, তেমনটা আর কোনও দেশের সঙ্গে হয়নি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কই আমেরিকার জন্য একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বলে দাবি করেছেন তিনি।
ক্যাম্ববেল বলেন, “ভারতের এক অনন্য কৌশলগত চরিত্র রয়েছে। এই দেশ আমেরিকার মিত্রশক্তি হবে না। ভারতের স্বাধীন শক্তিশালী রাষ্ট্র হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং এই দেশ আরও এক বড় শক্তি হয়ে উঠবে। তবে আমার মতে, সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী হচ্ছে।”
হোয়াইট হাউসের এই কর্তা আরও জানিয়েছেন, দুই দেশেরই আমলা স্তরে কিছু বাধা রয়েছে। জো বাইডেন প্রশাসন যখন কোয়াডের শীর্ষনেতাদের বৈঠকের প্রস্তাব রেখেছিলেন, সেই সময় ভারত দোটানায় পড়ে গিয়েছিল। ক্যাম্ববেলের মতে সম্ভবত আমলারা এর বিরোধী ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সরাসরি আহ্বান করেছিলেন, ভারত তাতে আগ্রহ দেখিয়েছিল।
তবে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্খী বলে জানিয়েছে তিনি। মহাকাশ, শিক্ষা, জলবায়ু, থেকে প্রযুক্তি – বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ভারত ও আমেরিকা যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক শুধুমাত্র চিন সম্পর্কিত উদ্বেগকে ঘিরে গড়ে ওঠেনি। দুই দেশের সমাজই আসলে এই সমন্বয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে।