Putin: আন্তর্জাতিক মহলে আরও গুরুত্ব বাড়ল ভারতের, গুরু দায়িত্ব দিয়ে দিলেন পুতিন
Putin: রুশ প্রেসিডেন্ট বলছেন, যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহের মাথায় ইস্তানবুলের বৈঠকে কয়েকটি বিষয় ঠিক হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয় ফাইভ পয়েন্ট রোডম্যাপ। আজ পর্যন্ত সেটা কার্যকর হয়নি। পুতিনের প্রস্তাব সেই ফাইভ পয়েন্ট রোডম্যাপের উপর দাঁড়িয়েই আলোচনা শুরু হতে পারে।
কলকাতা: এতদিন যা ভিতরে ভিতরে ছিল, এবার সেটাই প্রকাশ্যে বলে দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে আলোচনায় তাঁর আপত্তি নেই। আর এব্যাপারে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করতে পারে ভারত। ভারতের পাশপাশি চিন ও ব্রাজিলের নামও করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের কথায়, আমি নিজে এই দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। পুতিন যে তিনটে দেশের নাম করলেন, তার মধ্যে একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীই সবেমাত্র রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করেছেন। পুতিন ও জেলেনস্কি – দুই রাষ্ট্রপ্রধানই যে যুদ্ধ থামাতে ভারতের হস্তক্ষেপ চাইছেন। সেটা নিঃসন্দেহে ভারতের মতো দেশের গুরুত্ব যে বাড়াচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু প্রশ্ন হল সংঘর্ষ বিরতির আলোচনাটা হবে কিসের ভিত্তিতে?
রুশ প্রেসিডেন্ট বলছেন, যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহের মাথায় ইস্তানবুলের বৈঠকে কয়েকটি বিষয় ঠিক হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয় ফাইভ পয়েন্ট রোডম্যাপ। আজ পর্যন্ত সেটা কার্যকর হয়নি। পুতিনের প্রস্তাব সেই ফাইভ পয়েন্ট রোডম্যাপের উপর দাঁড়িয়েই আলোচনা শুরু হতে পারে। অন্য কোনও প্রস্তাব থাকলে রাশিয়া সেটাও শুনতে রাজি। তবে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমেই সেই প্রস্তাব আসতে হবে। মানে, এব্যাপারে আমেরিকা বা ইউরোপের অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপ পুতিন মানবেন না। এবং প্রথমেই সেটা তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এবার এই খবরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং অংশে যাব। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে যে খবর পাচ্ছি, সেটা চমকে দেওয়ার মতো। ইউক্রেনে সংঘর্ষ বিরতির জন্য হয়তো ভারতের উপরেই গুরুদায়িত্ব বর্তাচ্ছে। এবং তলে, তলে সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।
এর আগে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে পুতিন যে শর্ত দিয়েছেন, ইউক্রেন তা মানেনি। সেখানে ভারত কীভাবে দু’পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়ে ফেলবে? হাতে এমন কোনও জাদু দণ্ড তো নেই। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কিন্তু হাতের তাস তৈরি। ভারত যদি সত্যিই মধ্যস্থতার দায়িত্ব নেয় বা সেই দায়িত্ব পায় তাহলে সেই রোডম্যাপ তৈরি। দিল্লি তিনটে প্ল্যান রেডি রাখবে। প্ল্যান এ, প্ল্যান বি ও প্ল্যান সি। আপাতত এখন সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাপর্বটা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে আন্ডার দ্য টেবিল টক। সবাই মিলে ঘটা করে প্রকাশ্যে আলোচনা নয়। এই টক আন্ডার দ্য টেবিলই এখন কূটনীতির নয়া ট্রেন্ড। আর সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভারতের। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীদিনে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়বে। আরও ঘনঘন মিসাইল হামলা হবে। নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে। এরমধ্যেই তলায় তলায় আলোচনা চলবে। হাতে মোটামুটি ১২ থেকে ১৮ মাস সময়। তার মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতি হলে হবে। না হলে ধরতে হবে আগামী ১০-১২ বছরেও এই সমস্যার সমাধান মেলা কঠিন।