তেহরান: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে ফুঁসছে ইরানে (Iran)। এই সপ্তাহে দু’মাসে পড়ল এই আন্দোলন। পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী এই আন্দোলন দমানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও তা থামানো যায়নি। এবার এই বিক্ষোভ আন্দোলনের অংশ হয়ে প্রতিবাদীরা ইরানের প্রাক্তন সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ খামেইনি (Ayatollah Khameini)-র পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আগুন লাগার ভিডিয়ো ঘোরাঘুরি করছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা খোমেনেইয়ের বাড়ি আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে।
প্রতিবাদীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার খোমেইনে তাঁরা এই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। তবে এই আগুন লাগানোর ফলে সেই বাড়িতে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বর্তমানে সেখানে কেউ বসবাস করেন না। খামেইনির পৈতৃক বাড়ি এখন মিউজিয়ামে রূপান্তরতি করা হয়েছে। এই আগুন লাগার ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাড়িতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাস করছেন প্রতিবাদীরা। এই বাড়িতেই আয়াতুল্লাহ খামেনেই জন্মেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বর্তমানে তা এখন মিউজিয়াম। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিবাদীদের রোষের মুখে পড়েছিলেন খামেনেই। ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন শুরু হতেই একাধিকবার তাঁর ছবি, পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী তাঁকে ইরান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন প্রতিবাদীরা।
#BREAKING: This is #Khomein, birthplace of founder of Islamic Regime of #Iran, Dictator #Khomeini. Protesters burned the house of #Khomeini which had been turned into a museum by the terrorist regime 30 years ago. #MahsaAmini #مهسا_امینی pic.twitter.com/k7sDx40oFr
— Babak Taghvaee – The Crisis Watch (@BabakTaghvaee1) November 17, 2022
প্রসঙ্গত, ইরানে মহিলাদের পোশাকবিধি নিয়ে কড়াকড়ি রয়েছে। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করলে মেল কঠোর শাস্তিও। ২২ বছরের মাহসা আমিনি সেই নির্দেশ মেনে যথাযথভাবে হিজাব না পড়ায় সেখানকার নীতি পুলিশের কবজায় পড়েছিলেন। তারপর পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। প্রতিবাদে পা মিলিয়েছেন মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে। তাঁরা মাহসার মৃত্য়ুর প্রতিবাদে নিজেদের চুল কেটেছেন। উড়েয়েছেন হিজাবও। এদিকে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পুলিশি আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো প্রতিবাদীর। দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজাও শোনানো হয়েছে।