AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Iran Protests: প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মেয়েকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিল ইরান আদালত

গতবছর 'সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রচারে'র জন্যই ফায়েজি হাসেমিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরান আদালত।

Iran Protests: প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মেয়েকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিল ইরান আদালত
ইরানের প্রাক্ন প্রেসিডেন্টের কন্যা ফাইজি হাসেমি।
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2023 | 5:04 PM
Share

দুবাই: রেহাই নেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কন্যারও। আমিনি আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় এবার ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আকবর হাসেমি রাফসানজানির মেয়ে ফায়েজি হাসেমিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরান আদালত। মঙ্গলবার ফায়েজি হাসেমির আইনজীবী একথা জানিয়েছেন।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মেয়েকে কারাদণ্ড দেওয়ার কারণ হিসাবে চার্জশিটে ঠিক কারণ দেখানো হয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি ফায়েজি হাসেমির আইনজীবী। তিনি কেবল জানান, গতবছর ‘সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রচারে’র জন্যই ফায়েজি হাসেমিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফায়েজি হাসেমি ‘হিংসায় প্ররোচনা’ দিচ্ছেন বলে গত সেপ্টেম্বরে তেহরানের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, মাস চারেক আগে ঠিকমতো হিজাব না পরার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনিকে। তারপর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই দেশজুড়ে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। যদিও ইরান সরকার কঠোর হাতে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করে। পরপর বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। হাজার-হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা দমে যাওয়া দূরস্ত, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আকবর হাসেমি রাফসানজানির মেয়ে ফায়েজি হাসেমি সেই আন্দোলনেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই এবার তাঁর কারাদণ্ড হল।

তবে কেবল কারাদণ্ড নয়, আমিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মৃত্যুদণ্ডও দিচ্ছে ইরান আদালত। এদিনই ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার ২ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। গত ৩ মাসে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান আদালত। যদিও যেভাবে পরপর আন্দোলনকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। ইরানে ‘বেঁচে থাকার অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে’ বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।