Bangla News World Is there another independent country is goin to form at India and Bangladesh border
Arakan Army: ভারতের পাশেই আরেকটা নতুন দেশ হতে চলেছে? কী ভাবে জানুন
Arakan Army: এই গওয়া শহর ছিল মায়ানমারের পশ্চিমী সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডো সদর দফতর। রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে যে এই শহর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এখান থেকেই বোঝা যায়।
1 / 8
তিন মাস আগে অবধিও যে কাজ প্রায় অসম্ভব বলে মনে, হয়েছিল যা কেবল একটা দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই ছিল না, এখন যেন সেটাই বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। ইউনাইটেড লিগ অভ আরাকান(ইউএলএ) এবং তাদের সামরিক শাখা আরাকান আর্মির দাপটে এবার ভারতের সীমান্তে নতুন দেশ জন্ম নিতে পারে বলে আশঙ্কা।
2 / 8
স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিদিন এক পা এক পা করে এগিয়ে চলেছে তাঁরা। আরাকান আর্মি ইতিমধ্যেই মায়ানমার ইউনিয়নের রাখাইন প্রদেশ(আগের নাম আরাকান) রাজ্যের ১৮টি শহরের মধ্যে ১৫টি দখল করে নিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের ৩০০ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এলাকাও এখন সেই বাহিনীর দখলে।
3 / 8
যদিও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এখনও মায়ানমার সরকারের হাতেই রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সিত্তেভ বন্দর, মুয়ানাং শহর এবং কিউকফু বন্দরে নিজেদের কতৃত্ব বজায় রেখেছে মায়ানমার সামরিক বাহিনী।
4 / 8
এই তিনটি জায়গার মধ্যে কিউকফু বন্দরটি বানানোর জন্য আবার চিনের সাহায্য নিয়েছিল মায়ানমার সরকার। কালাদন মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের অধীনে অর্থ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সিত্তেভ বন্দর তৈরি করতে সাহায্য করে ভারত।
5 / 8
আজ থেকে সাত দিন আগে রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ গওয়া শহরটি দখল করে। প্রসঙ্গত, এই গওয়া শহর ছিল মায়ানমারের পশ্চিমী সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডো সদর দফতর। সুতরাং, রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে যে এই শহর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এখান থেকেই বোঝা যায়।
6 / 8
কয়েকদিন আগেও আরাকান আর্মি সেনাবাহিনীর হাত থেকে মংডো শহর কেড়ে নেয় এবং তারই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চল পুরোপুরি দখল করে নেয়। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো পুরো রাখাইন প্রদেশ দখল করে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে সফল হলে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর এটিই হবে এশিয়ায় প্রথম সফল বিচ্ছিন্নতাবাদী সামরিক অভিযান। ফলে ভারতের প্রতিবেশীতে একটি নতুন দেশের জন্ম হতে পারে। সেটা যে বাংলাদেশ সীমান্তেও নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেবে তা বলাই বাহুল্য।
7 / 8
রাখাইন প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ এবং কৌশলগত চিনা রাষ্ট্রীয় শহর পালেতোয়ার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর, ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান মিলেটারি সামরিক জুন্তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। উভয় পক্ষই চিনের নেতৃত্বে হওয়া হাইগাং চুক্তি নিয়েও কথা বলতে সম্মত হয়েছে। ২০২৪ সালে হওয়া এই চুক্তির মূল বক্তব্য ছিল সাশস্ত্র অভিযানের বদলে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির সমাধান করা।
8 / 8
ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান আগে একটি বিবৃতিতে এই সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে অনান্য দেশগুলির সমর্থনের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে। সেই বিবৃতিটি ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান চিনা ভাষাতেও সেই বিবৃতি জারি করে। রাখাইন প্রদেশে ভারত ও চিনের মতো দেশগুলির বিদেশী বিনিয়োগের বিষয়টি সুরক্ষিত এবং নিশ্চিত করতেও তৎপর আরাকান আর্মি।