ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। এবার ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বাংলাদেশের আদালত। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে না চাওয়ায় তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলাম। প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারের পরও কেন নিজেদের হেফাজতে চাইল না মহম্মদ ইউনুসের পুলিশ। হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের যে আন্দোলন, তাকে থামাতেই কি গ্রেফতার করা হয়েছে ইসকনের সন্ন্যাসীকে? এই প্রশ্নও উঠছে।
গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। গতকাল ঢাকা বিমানবন্দর এলাকা থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুরা প্রতিবাদে সামিল হয়। এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তায় ইসকনের এই সন্ন্যাসীকে আদালতে আনা হয়। সেই সময় আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন চিন্ময় দাসের ভক্তরা। এদিন আদালতে চিন্ময় দাসকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায়নি পুলিশ। তাই, জামিনের আবেদন খারিজ করে চিন্ময় দাসকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
সম্প্রতি চিন্ময় দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চিন্ময় দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।
তাঁর বিরুদ্ধে মামলার পর ইসকন প্রবর্তক ধাম অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিয়ো বার্তায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি মামলাটি সনাতনীদের আট দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেন। ওই বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেছিলেন, “গত ৫ অগস্টের পর সনাতনীদের ওপর চালানো হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলন বর্তমান সরকার কিংবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।”