লেবানন: সময় যত কাটছে, ততই বাড়ছে যুদ্ধের পারদ। পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি এয়ারস্ট্রাইক। লেবাননে হিজবুল্লা গোষ্ঠীকে খতম করতে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করল ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, হিজবুল্লা প্রধান যখন টেলিভিশন বার্তা দিচ্ছিলেন, সেই সময়ই ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স আক্রমণ করে। হিজবুল্লার বিভিন্ন ঘাঁটিতে লাগাতার গোলা-বোমাবর্ষণ করছে ইজরায়েল।
আইডিএফের তরফেও লেবাননে এই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে আইডিএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “হিজবুল্লা জঙ্গিদের নিকেশ করতে এবং তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে লেবাননে আক্রমণ করেছে আইডিএফ। কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লা সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, তাদের বাড়ির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে এবং বিপদের মুহূর্তে সাধারণ নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। দক্ষিণ লেবাননকে এরা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে তুলেছে।”
জানা গিয়েছে, হিজবুল্লা প্রধান নাসরুল্লাহ যখন বিগত দুদিন ধরে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে বহু সদস্যের মৃত্যু এবং শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা করছিলেন, সেই সময়ই লেবাননে হামলা করে ইজরায়েল। হিজবুল্লা প্রধান টেলিভিশন বার্তায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছিলেন লেবাননে যে গণহত্যা চালিয়েছে ইজরায়েল, তার শাস্তি দেওয়া হবে। সেই সময়ই হামলা শুরু করে আইডিএফ। একাধিক শহরে বোমা ও গোলাবর্ষণ করেছে ইজরায়েলি সেনা। মূলত হিজবুল্লা ঘাঁটিগুলিকেই নিশানা করা হয়েছিল।
আইডিএফের দাবি, হিজবুল্লা প্রধান ভিডিয়ো বার্তা দেওয়ার সময়, তাদের তরফ থেকেও ইজরায়েলকে নিশানা করে কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়। তবে আয়রন ডোমের দৌলতে অধিকাংশ রকেটই ইজরায়েলের আকাশসীমায় ঢুকতে পারেনি।
অন্যদিকে, এই হামলা-পাল্টা হামলার জেরে মধ্য প্রাচ্যে উত্তাপ বাড়তেই দুই পক্ষকে সংযত হতে অনুরোধ করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। একদিকে আমেরিকা যেখানে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে, সেখানেই ব্রিটেন অবিলম্বে ইজরায়েল ও হিজবুল্লাকে সংঘর্ষ রুখতে অনুরোধ জানিয়েছে।