টোকিও: আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে যাওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পূর্ব এশিয়ার। এই সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত চিন নিজের সমরাস্ত্রের সম্ভার তাক করেছে তাইওয়ানের দিকে। সামরিক মহড়াও শুরু করেছে তাঁরা। এই সামরিক মহড়া অবিলম্বের বাতিল করতে চিনতে বার্তা দিল জাপান। “তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া জাপানের নাগরিক ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সমস্যা তৈরি করছে” বলে দাবি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানের আকাশ ছাড়িয়ে চিনের পাঁচটি ব্যালিস্টিক মিসাইল বৃহস্পতিবার গিয়ে পড়েছিল জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায়। এর পরই শুক্রবার চিনের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শুক্রবারই গিয়েছেন টোকিওয়।
পেলোসি জাপানে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে প্রাতরাশ সেরেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। প্রাতরাশের সময় বৈঠকের পর কিশিদা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “এই সময়ে চিনের পদক্ষেপ আমাদের এই এলাকার শান্তি ও স্থিতাইবস্থা বজায় রাখার ব্যাপারে গুরুতর প্রভাব ফেলছে। সামরিক মহড়া অবিলম্বে বন্ধের জন্য চিনকে জানিয়েছি আমরা।”
পেলোসি তাইওয়ানে পা রাখার পর থেকেই হুমকি ধেয়ে এসেছিল চিনের তরফে। ২৫ বছর পর আমেরিকার এই উচ্চমর্যাদার কোনও অফিসিয়াল এসেছিলেন তাইওয়ানে। চিনের পূর্ব দিকে তাইওয়ানের অবস্থান। এই স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্রকে বরাবরই নিজেদের বলে দাবি করে চিন। দরকারে সেই দ্বীপ দখলের হুশিয়ারিও বিভিন্ন সময় দেওয়া হয়েছে চিনের তরফে। আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক গভীরতা বাড়ানো নিয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় অপছন্দের কথা জানিয়েছে বেজিং। এবং ওই এলাকায় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চিন। তাইওয়ানের উপর চাপ সৃষ্টি করায় উদ্দেশ্য লালফৌজের।
এই বিষয়টিও উঠে এসেছ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পেলোসির আলোচনায়। বিষয়টি নিয়ে কিশিদা বলেছেন, “আমার এবং পেলোসির মধ্যে ভূরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চিন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সম্পর্কিত বিষয়ও উঠে এসেছে আলোচনায়। পরমাণু মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার বিষয়েও সদর্থক আলোচনা করেছি আমরা।”