টোকিয়ো: জাপানের রাজধানী টোকিয়োতে আয়োজিত কোয়াড নেতাদের বৈঠকে (QUAD Leader Summit) যোগ দিয়ে চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (Joe Biden)। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কোয়াড কোনও খামখেয়ালি আচরণের জন্য তৈরি হয়নি। ‘কোয়াড মানে ব্যবসা’, বাইডেনের এই বার্তা চিনের জন্য বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বাইডেন জানিয়েছেন, ৪ রাষ্ট্রনেতা এখানে মিলিত হয়ে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য কাজ করার জন্য চেষ্টা করছেন এবং তার অংশীদার হতে পেরে তিনি গর্বিত। এদিন অন্য দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে রাশিয়াকে একহাত নেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে রাশিয়া এক নতুন ধরনের সংস্কৃতি আমদানি করতে চাইছে। এদিনের কোয়াড সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফিউমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ির মধ্যে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোয়াড সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানিয়ে বাইডেন বলেন, “আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে পেরে ভাল লাগছে।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে একটুও সরে আসেনি আমেরিকা, বাইডেনের এ দিনের কথা থেকে তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, “রাশিয়া এক নতুন সংস্কৃতির আমদানি করেছে। এটা এখন শুধু ইউরোপের সমস্যা নয়, এটা এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু। রাশিয়ার কারণে খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা তৈরি হচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, ফলে খাদ্য সঙ্কট আরও তীব্র হবে। রাশিয়া যতদিন ইউক্রেনে যুদ্ধ করবে, আমেরিকা ততদিন সঙ্গীদের সঙ্গে কাজ করবে।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই কোয়াড সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিনের সঙ্গে কোয়াডভুক্ত দেশগুলির সমস্যা রয়েছে। ভারত, আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের শক্তি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। এই অঞ্চলে চিনের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পাল্টা অতীতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলির যৌথ সেনা মহড়াও হয়েছে। এই অঞ্চলে চিনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন বলেই মনে করছে। এখন কোয়াড সম্মেলন থেকে চিনকে নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও কৌশল নেওয়া হয় কি না, এটাই এখন দেখার।