ওয়াশিংটন: পশ্চিমী দেশে যে কোনও শুভকামনায় বা কোনও শুভ প্রস্তাবে গ্লাস তোলার এবং পান করার রীতি রয়েছে। যাকে পোশাকি ভাষায় বলা হয়, ‘রেইসিং আ টোস্ট’। সাধারণত, সেই গ্লাসে অ্যালকোহল,অর্থাৎ মদ থাকে। কিন্তু, মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দুজনের কেউই মদ্যপান করেন না। বৃহস্পতিবার, হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের এই গ্লাস তোলা নিয়ে তৈরি হল এক মজাদার মুহূর্ত। সাধারণত, রাষ্ট্রপ্রধানদের জীবনে হালকা মেজাজের মুহূর্ত খুব কমই আসে। বৃহস্পতিবার রাতে, সেই রকমই বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারই মাঝে মদ ছাড়া অন্য পানীয় ভরা গ্লাস তোলা নিয়ে এমন কথা বললেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, যে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী মোদী আর হাসি চেপে রাখতে পারলেন না।
হোয়াইট হাউসের এই নৈশভোজে সব মিলিয়ে ৩৮০ জন অতিথি ছিলেন। কেউ ব্যবসা, কেউ বিনোদন, কেউ বা রাজনীতির জগতের কেউকেটা। তাঁদের সামনে, পাশে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মদ ছাড়া গ্লাস তোলার বিষয়ে তাঁর দাদুর এক কাহিনি বর্ণনা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমার দাদু অ্যামব্রোস ফিনেগান বলতেন, গ্লাস তোলার সময় যদি তোমার গ্লাসে কোনও মদ না থাকে, তাহলে তোমার সেই গ্লাস বাঁ হাতে তোলা উচিত।” তাঁর এই কথা শেষ হওয়ার আগেই হাসতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাইডেন বলেন, “আপনারা সবাই হয়তো ভাবছেন যে আমি মজা করছি। কিন্তু আমি তা করছি না।” বাইডেনের এই বক্তব্য হিন্দিতে অনুবাদ করার চেষ্টা করেন অনুবাদক। তাঁর হিন্দি অনুবাদ শুনে উপস্থিত অতিথিরা আরও মজা পান। বাইডেন বলেন, “এই কথাগুলো তো স্ক্রিপ্টে লেখা ছিল না।”
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi and US President Joe Biden, at the State Dinner at the White House. pic.twitter.com/r0LkOADAZ6
— ANI (@ANI) June 23, 2023
বাইডেন আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সঙ্গে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন। জো বাইডেন বলেন, “আজ রাতে আমরা ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের বন্ধন উদযাপন করছি।” অন্যদিকে, তাঁর সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি এবং ফার্স্ট লেডিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “আজকের এই চমৎকার নৈশভোজের জন্য আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। গতকাল সন্ধ্যা থেকে যেভাবে আপনারা আমায় খাতির-যত্ন করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের দুই দেশের মানুষের উপস্থিতিতে এই সন্ধ্যা, এক বিশেষ সন্ধ্যায় পরিণত হয়েছে। এই জনগণই আমাদের সবথেকে মূল্যবান সম্পদ।”