ইসলামাবাদ: নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে গঠন করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই সরকারই দেশ পরিচালনা করবে। গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির বাসভবনে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন আনোয়ারুল হক কাকার। ১৮ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। আর এই সরকারে জায়গা দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মুশাল হোসেন মালিককে। জিওটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবাধিকার ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের বিশেষ উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে।
অবশ্য এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। ২০০৯ সালে ইসলামাবাদে বিয়ে করেছিলেন ইয়াসিন মালিক এবং মুশাল মালিক। সেই বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা। জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের কমান্ডার ইয়াসিন মালিক বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানের গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।
নতুন আদমশুমারির ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকাগুলির নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে চায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। তাই পাকিস্তানের নির্বাচন হতে কিছুটা দেরি হবে। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হবে নির্ধারণ ১৪ ডিসেম্বর। এর অন্তত ৯০ দিন আগে নির্বাচন শেষ করার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানে দেশ পরিচালনা এবং ক্ষমতার নির্বিঘ্ন হস্তান্তর নিশ্চিত করতে এই অন্তর্বর্তীকৈালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এই সরকারে ১৬ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৩ জন উপদেষ্টা আছেন।