প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার চূড়ায় খালিস্তানি পতাকা! দাবি পাক দলের

খালিস্তানি পতাকা দাবি করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পরভেজ মুশারফের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ এই ঘটনাকে 'ঐতিহাসিক মুহূর্ত' বলে অভিহিত করেছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার চূড়ায় খালিস্তানি পতাকা! দাবি পাক দলের
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Jan 27, 2021 | 2:46 PM

নয়া দিল্লি: ট্রাক্টর র‍্যালিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র রাজধানী। ৭২-তম প্রজাতন্ত্র দিবসেই ট্রাক্টর মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন অন্নদাতারা। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসে যখন দিল্লিতে কুচকাওয়াজ চলছে তখনই নির্ধারিত সময়ের আগে র‍্যালি শুরু করেন কৃষকরা। তারপর থেকে কৃষক-পুলিস সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় দিল্লি। আন্দোলনরত কৃষকরা ঢুকে পড়েন লালকেল্লায়। চূড়ায় লাগিয়ে দেন হলুদ রঙের পতাকা। সেই পতাকাকেই খালিস্তানের পতাকা (Khalistani flag) দাবি করল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ।

খালিস্তানি পতাকা দাবি করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পরভেজ মুশারফের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ এই ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছে। টুইটে এপিএমএল দলের তরফে লেখা হয়েছে, “শান্তিপূর্ণ শিখ আন্দোলনকারীরা লালকেল্লা থেকে ভারতের পতাকা সরিয়ে নিসান সাহিব পতাকা উড়িয়েছেন।’ পাশাপাশি শিখ ও মুসলিমদের শক্ত সমর্থ থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে ওই টুইটে।

পতাকা লাগানোর পর, অনেকে মনে করেছিলেন এই পতাকা শিখ ধর্মালম্বীদের পতাকা। কিন্তু অল পাকিস্তান মুসলিম লিগের দাবি, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় উড়েছে খালিস্তানের পতাকা। আন্দোলন শুরুর সময় ভারতের জাতীয় কংগ্রেস টুইট করে ঘটনাকে ‘প্রজাতান্ত্রিক দেশের শক্তি’ হিসাবে অভিহিত করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এই আন্দোলনের সমালোচনায় সরব হন একাধিক কংগ্রেস নেতা।

কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মঙ্গলবার দুপুরে টুইট করে লেখেন, “হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আহত যেই হন না কেন, লোকসান আমাদেরই দেশের।” এরপরই কেন্দ্রের উদ্দেশে আবেদনের সুরে তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে কৃষক-বিরোধী এই আইন প্রত্যাহার করুন।” সমালোচনায় টুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। তিনি লিখেছেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি প্রথম থেকেই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছি। তা বলে আমি অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো দিনে পবিত্র জাতীয় পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা লাল কেল্লায় শোভা পায় না।”