প্যাংগং: উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নেতা কিম জং উনকে (Kim Jong Un) নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। নানা জল্পনার মাঝেই এদিন প্রকাশ্যে এলেন কিম। প্রায় একমাসেরও বেশি সময় পরে কিমকে প্রকাশ্যে দেখা গেল। চিন সীমান্তেক কাছে তৈরি হওয়া এক নয়া শহর এদিন ঘুরে দেখেন কিম। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নবনির্মিত এই শহরকে ‘লোহার ইচ্ছা’ বলেই ব্যখ্যা করেছেন কিম। মঙ্গলবার, উত্তরল কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিম জং উন সামজিয়ন শহরে তার সফরের সময় নির্মিয়মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সেই বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এই এলাকাকে “সূর্যের পবিত্র স্থান” আখ্যা দিয়েছেন কিম।
কেসিএন জানিয়েছে, “মনে রাখতে হবে, সামজিয়ন নগরের ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এই নির্মাণ কাজ, দেশের শাসক দল ও সাধারণ নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের একটি ফসল। এই উদ্যোগ সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিজস্ব উপায়ে এবং আমাদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে। এই মর্মে দলের সাধারণ সম্পাদক দেশের সমস্ত নাগরিক ও নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। কারণ তার দলের যাবতীয় নীতিকে সমর্থন করেছে।”
কিমকে উদ্ধৃত করে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, “তিনি বলেছেন, সামজিয়ন সিটি নির্মাণের মাধ্যমে গুণগত মান, নির্মাণ কাজ, এবং অভিজ্ঞতা আমাদের দলের নীতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় এলাকার বদলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই নতুন সংগ্রামের সূচনা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সামজিয়ন সিটিকে (Samjiyon city) নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেদেশের প্রশাসন। নব নির্মিত এই শহরে, নতুন অ্যাপার্টমেন্ট, রিসর্ট, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যাবতীয় সুযোগ সুবিধা মিলবে এই শহরে। দেশীর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই এই শহর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। মাউন্ট পাইকতুর (Mount Paektu) নিকটেই অবস্থিত সামজিয়ন সিটি। এই পার্বত্য এলাকাকে পবিত্র স্থান হিসেবেই মনে করে কিম ও তাঁর পরিবার। কারণ জানা গিয়েছে এই এলাকাতেই কিমের বংশধররা বসবাস করত। ২০১৮ সাল থেকে অনেকবারই এখানে এসেছেন কিম।
আরও পড়ুন গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে যেতে চেয়ে হাসিনার কাছে আবেদন পরিবারের