Modi’s Russia visit: ‘ওরা ঈর্ষার চোখে দেখছে’, মোদীর সফর নিয়ে বড় বিবৃতি রাশিয়ার

Jul 07, 2024 | 11:05 PM

Modi's Russia visit: ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে, ৮ ও ৯ জুলাই মস্কো সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর, এই প্রথম পুতিনের দেশে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই সফর নিয়ে রবিবার বড় বিবৃতি দিল ক্রেমলিন।

Modis Russia visit: ওরা ঈর্ষার চোখে দেখছে, মোদীর সফর নিয়ে বড় বিবৃতি রাশিয়ার
দুই নেতা অনানুষ্ঠানিক ভাবেও কথা বলতে পারবেন বলে আশা ক্রেমলিনের
Image Credit source: ANI

Follow Us

মস্কো: ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে, ৮ ও ৯ জুলাই মস্কো সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর, এই প্রথম পুতিনের দেশে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দুই নেতা দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ের পর্যালোচনা করবেন এবং পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে মত বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। এদিকে, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর এই শীর্ষ বৈঠক “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” বলে মনে করছে ক্রেমলিন। রবিবার (৭ জুলাই), তারা বলেছে, পশ্চিমী দেশগুলি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর রুশ সফর নিয়ে ‘ঈর্ষান্বিত’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই মস্কো সফরকে তারা ‘ঈর্ষার চোখে দেখছে’।

শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল, ভিজিটিআর-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “অবশ্যই, এই বৈঠকের অ্যাজেন্ডাটি অনেক বিস্তৃত। বলা যেতে পারে অত্যন্ত ব্যস্ততা থাকবে। এটি একটি সরকারি সফর হলেও, আমরা আশা করছি, দুই রাষ্ট্রপ্রধান অনানুষ্ঠানিক ভাবেও একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, রুশ-ভারত সম্পর্ক এখন কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পূর্ণাঙ্গ সফরের প্রত্যাশা করছি। রুশ-ভারত সম্পর্কের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।” পেসকভ আরও বলেন, “ওরা (পশ্চিমী দেশগুলি) ঈর্ষান্বিত। এর অর্থ ওরা খুব কড়াভাবে নজর রাখছে। এই নিবিড় পর্যবেক্ষণের অর্থ, তারা এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। ওরা ভুল কিছু করছে না। এটা অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়ার মতোই হতে চলেছে।”

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি – দুজনের সঙ্গেই বেশ কয়েকবার টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই যুদ্ধ আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ক্ষতি করছে বলে, যুদ্ধের অবসানের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। তবে, রাশিয়ার সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্কও নষ্ট করেনি নয়া দিল্লি। পশ্চিমী চাপের মুখেও ভারত এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের নিন্দা করেনি। তবে বারবারই বলেছে, কূটনীতি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এই সংঘাতের সমাধান করতে হবে। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সস্তায় অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে। এর আগে, ২০১৯ সালে শেষবার রাশিয়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্ব রাশিয়ার শহর ভ্লাদিভস্তকে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০২১-এ ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

Next Article