কুয়ালালামপুর: ঘুমের মধ্যেই মাটির নীচে চাপা পড়ে গেল মৃত্যু হল। মৃতদের তালিকায় রয়েছে পাঁচ বছরের শিশুও। শুক্রবার ভোররাতে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ভূমিধসে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ২০ জনেরও বেশি। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে হতাহতদের খোঁজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়ালালামপুরের বাইরে সিলঙ্গর প্রদেশে এদিন ভোররাত ৩টে নাগাদ একটি ফার্ম হাউসের কাছে ভূমিধস নামে। ঘটনায় ফার্মহাউসটি সম্পূর্ণভাবে মাটির নীচে চলে গিয়েছে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতা থেকে এবং প্রায় এক একর জায়গা জুড়ে ভূমিধস হয় বলে দমকল বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকার্যে নেমেছে দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী সূত্রে খবর, এদিনের ভূমিধসে প্রায় ৯০ জন মানুষ আটকে পড়েন। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫৯ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ২২ জন এখনও নিখোঁজ। ১২ জনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর ৮ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। জেলা পুলিশের প্রধান সুফিয়ান আব্দুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার তরফে প্রায় ৪০০ জন কর্মী উদ্ধারকাজে নেমেছে। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে। নিখোঁজ সকলের যাতে হদিশ মেলে, সেই প্রার্থনা করছেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমেদ।
প্রসঙ্গত, সিলঙ্গর প্রদেশের যেখানে ভূমিধস হয়েছে, সেই এলাকাটি বাটাং কালি শহরের প্রায় ৫৯ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়। বৃষ্টি বা ভূমিকম্প ছাড়াই হঠাৎ করে ওই এলাকায় ভূমিধসের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।