লন্ডন: গ্রেফতারির সময় জানিয়েছিল মোক্ষম প্রতিবাদ। সরাসরি এক পুলিশ অফিসারের ঠিক মুখের উপর মুক্ত করেছিল পবন। প্রায় তিন বছরের কারাবাসের সাজা পেল সে। তবে, পুলিশের মুখের উপর বাতকর্মের জন্য নয়, এক সুপার মার্কেট থেকে ৩৩ ইউরো অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় টাকা মূল্যের বিয়ার এবং অ্যাপেল সাইডার চুরি করার জন্য। তবে, বিভিন্ন দোকান থেকে চুরি-ছিনতাই করাটা তার অভ্যাস। যে কারণে তার পরিচয়, একজন ‘সিরিয়াল শপলিফটার’। আর চৌর্যবৃত্তির মূলে রয়েছে তাঁর মাদকাসক্তি।
৪১ বছরের ম্যাথিউ হ্যাপগুডের কাহিনিটা আর পাঁচজন মাদকাসক্ত ছিঁচকে চোরদের মতো হতে পারত। কিন্তু, হয়নি শুধুমাত্র ওই বাতকর্মের জন্যই। যা তাঁকে খবরের শিরোনামে এনে দিয়েছিল। কুখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের ২১ মার্চ। সুপার মার্কেট থেকে চুরি করে পালানোর সময়, তাকে ধাওয়া করেছিল পুলিশ। বেশ খানিকক্ষণ চোর-পুলিশ খেলার পর, তাকে মাটিতে পেড়ে ফেলেছিল পুলিশ। গ্রেফতারকারী পুলিশ কর্তা ম্যাথিউকে মাটিতে উপুর করে ফেলে, পিছমোড়া করে তার হাতে হাতকড়া পরাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই সে জোরালো বায়ু ত্যাগ করেছিল বলে আদালতকে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা।
সেই ঘটনা তাকে খ্য়াতনামা করে তুললেও, এর জন্য ম্যাথিউ হ্যাপগুডকে কোনও সাজা দেয়নি অক্সফোর্ড ক্রাউন কোর্ট। তাকে ডাকাতি, দোকান লুটপাট, সঙ্গে ধারালো ছুরি রাখা এবং অপরাধমূলক ক্ষতি করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ অগস্ট) ক্রাউন কোর্টের বিচারক তাকে ৩৪ মাসের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, “আপনার অপরাধের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এর আগে ৮৩টি অপরাধের জন্য ৩১বার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আসলে সবগুলি অপরাধই মাদক বা অ্যালকোহল আসক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশিরভাগ সময় ধরেই এই আসক্তি রয়েছে।”
স্বাভাবিকভাবেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অদ্ভূত খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি। এক ফেসবুক থ্রেডে, একজন মন্তব্য করেছেন: “একটি মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে হামলা?”, অন্য একজন লিখেছেন, “সেদিন সত্যিই জোরে বাতাস বইছিল, আশা করি কেউ দেশলাই জ্বালায়নি, একটি গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটতে পারত!” আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন: “কখনও কখনও আপনাকে আপনার অস্ত্রাগারের প্রতিটি অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়। দেখা যাচ্ছে, এখানে এই অভিযানের জন্য সে বড় বন্দুক নিয়ে এসেছে।” আরেকজন লিখেছেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা হতে পারে। যা আপনার হাতে নেই তা ধরে রাখতে পারবেন না।”