মালে : ভারতের সাহায্যে আপ্লুত হয়ে এক অভিনব উপায়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী (Maldives Foreign Minister) আবদুল্লা শাহিদ (Abdulla Shahid)। তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা নিজের টুইটারে পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়োতে তিনি মলদ্বীপ ও ভারতের মধ্যেকার নিবিড় সম্পর্ক তুলে ধরেন। তবে এই ভিডিয়োর বিশেষত্ব এটা নয়। তাঁকে এই ভিডিয়োতে কিছু কথা হিন্দিতে বলতে শোনা গিয়েছে। যখন মলদ্বীপ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল সেই সময় ভারতের তাদের দিকে অর্থনৈতিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। মলদ্বীপের দুঃসময়ে ভারত তাদের পাশে থাকার জন্য তারা ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী টুইট করেছেন, ‘ধন্যবাদ ভারত সময় মতো ১০০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্যের জন্য। এটা আমাদের মধ্যে বন্ধনের শক্তি। এর ফলে মলদ্বীপ ভারত পার্টনারশিপ এগিয়ে যাবে এবং আরও মজবুত হবে।’ মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রকে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আব্দুল্লাহ শাহিদের হাতে একটি প্রতীকী চেক তুলে দেন ভারতের হাই কমিশনার মুনু মহাওয়ার। সেই চেক তুলে দেওয়ার ছবিটিও টুইটারে পোস্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
Thank you #India for the timely and generous financial assistance of US$100 million.
It is truly the strength of our ties that enable mutual growth and cooperation reaffirming #MaldivesIndiaPartnership. @DrSJaishankar pic.twitter.com/ND6a7vGijm
— Abdulla Shahid (@abdulla_shahid) November 29, 2022
Our friendship is strong – that is why it has borne fruit.
Our friendship is deep – that is why it is appreciated by everyone.
Friendship goes on like time, and if friendship is like us then it makes history! pic.twitter.com/uTXnuhrD4u
— Abdulla Shahid (@abdulla_shahid) November 29, 2022
এই টুইটেই একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছিলেন আব্দুল্লাহ শাহিদ। সেই ভিডিয়োতে হিন্দিতে কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তিনি হিন্দিতে মলদ্বীপ ও ভারতের মধ্যেকার বন্ধুত্ব নিয়ে বলেন। তিনি হিন্দিতে বলেছেন, ‘দোস্তি গেহরি হ্যায় (আমাদের বন্ধুত্ব খুব মজবুত)- সে জন্যই তা ফল দিয়েছে। আমাদের বন্ধুত্ব গভীর- তাই সকলেই আমাদের এই বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন। সময়ের মতো বন্ধুত্বও চলতে থাকে, এবং যদি আমাদের মতো বন্ধুত্ব হয় তাহলে তা ইতিহাস তৈরি করে।’ এদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এক অপরের কল্যাণের জন্য চিন্তা করা এবং প্রত্যেক মুহূর্তে দুই দেশের স্বার্থের কথা ভাবা এই পার্টনারশিপের অংশ।