Maldives President: ‘নরেন্দ্র মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের’, বলছেন সে দেশেরই নেতা

Maldives President: গত বছরের শেষের দিকে তাল কেটেছে ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কে। সংবাদমাধ্যম 'ভয়েস অব মলদ্বীপ'-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী,মলদ্বীপের অন্যতম বিরোধী দলের ওই নেতা বলেছেন, কোনও প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়, যাতে বন্ধুত্বে ছেদ পড়ে।

Maldives President: 'নরেন্দ্র মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের', বলছেন সে দেশেরই নেতা
প্রশ্নের মুখে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jan 30, 2024 | 8:21 PM

মলদ্বীপ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্ক কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। ভারত ও প্রতিবেশী মলদ্বীপের সম্পর্কেই কেবল ছেদ পড়েনি, ঘরের অন্দরেই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে সরাতে রীতিমতো তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে ক্ষমা চাইতে বললেন সে দেশের বিরোধী দলের নেতা। মলদ্বীপের ঝুমরি পার্টি বা জে পি দলের নেতা কাসিম ইব্রাহিম এই দাবি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ভারতের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তার জন্য অবিলম্বে মুইজ্জুর ক্ষমা চাওয়া উচিত। প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে কখনও এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।

মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব মলদ্বীপ-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী,মলদ্বীপের অন্যতম বিরোধী দলের ওই নেতা বলেছেন, কোনও প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়, যাতে বন্ধুত্বে ছেদ পড়ে। কাসিম ইব্রাহিমের দাবি, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে দেশের ক্ষতি হয়। এই ভুল যাতে আর কখনও না করা হয়, সেই বার্তাও প্রেসিডেন্টকে দিয়েছেন ওই নেতা।

গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার পর সমুদ্র সৈকতের ছবি প্রকাশ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাধারণ মানুষ যাতে লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে যান, সে বার্তাও দেন মোদী। এরপর ভারতকে নিশানা করে আক্রমণ করতে থাকেন মলদ্বীপের কয়েকজন নেতা। মলদ্বীপের সৈকত যে কতটা ভাল, উন্নত, সেই বার্তাই দিতে থাকেন তাঁরা। মলদ্বীপের সেই তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ ও মাহজ়ুম মাজিদকে সাসপেন্ড করা হয় ওই ঘটনার পর। তারপরও প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দেশের অন্দরেই।