China Russia Friendship: ‘স্বার্থের বিয়ে’, চিনা প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফরকে কটাক্ষ হোয়াইট হাউসের
USA: হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল কোঅর্ডিনেটর ফর স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস, জন কিরবি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরকে কটাক্ষ করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন দুই দেশকেই।
ওয়াশিংটন: চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গিয়েছেন রাশিয়ায়। সেখানে গিয়ে তিনি বৈঠক করেছেন বন্ধু পুতিনের সঙ্গে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জিনপিংয়ের এই বৈঠক ঘিরে আমেরিকা ও ন্যাটো বিরোধী অক্ষ তৈরির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। কারণ চিন ও রাশিয়া দুই দেশই আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী। এই পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে নেই আমেরিকাও। জিনপিংয়ের মস্কো সফরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল কোঅর্ডিনেটর ফর স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস, জন কিরবি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরকে কটাক্ষ করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন দুই দেশকেই। আমেরিকার মনে করছে ন্যাটোর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তেই কাছাকাছি আসছে এই দুই দেশ। তবে নিজেরের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই মস্কো ও বেজিংয়ের এত কাছাকাছি আসা বলে মনে করছে ওয়াশিংটন।
এ বিষয়ে কিরবি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “আশা করছি আপনারা লক্ষ্য করেছেন এই দুই দেশ গত কয়েক বছরে একে অপরের কাছে এসেছে। যদিও আমরা এটাকে এখনও অবধি জোট বলছি না। আমরা মনে করছি এটা স্বার্থের বিয়ে। পুতিন এবং জিনপিংয়ের কাছাকাছি আসা আমেরিকা ও ন্যাটোর প্রভাবকে কাউন্টার করার চেষ্টা।” বেজিংকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করছে মস্কো- এই অভিযোগ তুলে কিরবি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য সমর্থক দেখতে পাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আন্তর্জাতিক মহলে পুতিনের তেমন বন্ধু নেই। হাতে গোনা বন্ধু তাঁর। তাই তিনি যা করতে চান সেই কাজে জিনপিংয়ের সমর্থন দরকার এবং তিনি তা চাইছেন।” এর এক দিন আগেই রাশিয়াকে চিনের জুনিয়র পার্টনার বলে বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নামিয়ে এনেছিল পশ্চিমী দুনিয়া। সেই সঙ্গে রাশিয়ার হামলার মোকাবিলায় ইউক্রেনে অত্যাধুনিক অস্ত্র সাহায্যও করেছে ওয়াশিংটন। বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব জারি রাখতে চিনের সঙ্গে আমেরিকার দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। তাইওয়ানে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর থেকেই চিন ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন ও রাশিয়ার কাছাকাছি আসার উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে হোয়াইট হাউস।