কাবুল: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার ভোররাতে ভূমিকম্প হয় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের (Earthquake) তীব্রতা ছিল ৬.১। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছিল প্রথমে মৃতের সংখ্যা ৩১০। এবার তীব্র ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯২০। আহত হয়েছেন শতাধিক। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরেই ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে। ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। দুই দেশেই ভূমিকম্প অনুভূত হলেও, আফগানিস্তানই ভূমিকম্পের উৎসস্থল হওয়ায়, সেখানেই ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি ছিল। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর, মুলতান, কোয়েত্তা সহ একাধিক জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
Over 300 killed and more than 500 injured in earthquake at Afghanistan. Mostly in Paktika and Khost provinces. Rescue ops underway in many villages. Casualties likely to increase. pic.twitter.com/2VUF5BmRJO
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) June 22, 2022
কয়েক মিনিটের ভূমিকম্পেই আফগানিস্তানের উত্তর অংশ ভয়ঙ্করভাবে কেঁপে ওঠে। ভেঙে পড়ে অগুনতি বাড়ি-ঘর। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছিল, ভূমিকম্পের জেরে কমপক্ষে ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল যে কমপক্ষে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৫০০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারেও বলেও জানানো হয়েছিল। এবার এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯২০।
At least 300 people have been killed and more than 500 others injured in a magnitude 7.0 earthquake in Paktika province.#Afghanistan #earthquake #paktika pic.twitter.com/quGypQR7gp
— Panra?? (@PanraAfg) June 22, 2022
খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল থাকলেও, আশেপাশের ৫০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকতিকা জেলা। সকালে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। তালিবানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান মহম্মদ নাসিম হাক্কানি জানান, পাকতিকা জেলাতেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ১০০ থেকে ১৫০ জন মারা গিয়েছেন। খোস্ত প্রদেশে আরও ২৫ জন মারা গিয়েছেন। নানঘরকরে মারা গিয়েছেন ৫ জন। প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে।